মুর্শিদাবাদ : আবারও নাটকীয় মোড় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরে। গত শনিবার কাঁদতে কাঁদতে ইস্তফা দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। সঙ্গে ছিলেন উপ প্রধান সহ আরও কয়েকজন সদস্য। তিনদিন পরই সেই ইস্তফা পত্র প্রত্যাহার করলেন প্রধান সহ ৬ জন। ওই পঞ্চায়েতের বাকি ১১ জন সদস্য আগেই মত বদল করেছিলেন, এবার বাকিরাও ইস্তফা পত্র প্রত্যাহার করলেন। মূলত আবাস যোজনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, জেলা নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন তাঁরা। ১৭ জন সদস্যের মধ্যে গত রবিবারই ১১ জন ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখেই এই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন।
এদিন ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার পর সৈয়দ নাসিরুদ্দিন জানান, যোগ্য ব্যক্তিদের যাতে ঘর দেওয়া হয়, সেই দাবিই জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা। অবশেষে জেলা নেতৃত্বের তরফে সেই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।
গত ওই পঞ্চায়েতের মোট ১৭ জন সদস্য সোজা বিডিও-র কাছে চলে যান গণ-ইস্তফা দেওয়ার জন্য। সেই সময় প্রধান জানান, বহু অসহায় মানুষ এখনও পাকা ঘর পাননি। কেঁদে ফেলে তিনি বলেছিলেন, ‘এরপর হয়ত আমাদের বাড়ি গিয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাবে। তা থেকে বাঁচতেই আমরা আজ ইস্তফা দিতে চাইছি।’ সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে নয়া মোড় দেখা যায় রবিবার সকালে। জানা যায়, প্রধান ও উপ-প্রধান বাদে বাকি ১৫ জনের মধ্যে থেকে ১১ জন নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেছেন। আর এবার মত বদল বাকিদেরও। আবাস যোজনা নিয়ে অভিযোগ সামনে আসার পর শুধু ভরতপুর নয়, রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েতে একই ছবি দেখা গিয়েছে। প্রতিনিয়ত কোনও না কোনও সদস্য পঞ্চায়েত থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।