Video: বেধড়ক মার CMOH-কে, ‘সাক্ষী’ বিধায়ক! পরে বললেন, ‘না বুঝে করে ফেলেছে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 13, 2022 | 3:16 PM

Murshidabad: হাসপাতাল সূত্রে খবর, বহরমপুর থানার অন্তর্গত বুডাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বুলবাহার শেখ। জানা গিয়েছে, তিনি বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ।

Follow Us

বহরমপুর(মুর্শিদাবাদ): বহরমপুরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে মারধর রোগীর আত্মীয়দের। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস ও বিধায়কের সামনেই মারধর করা হল ডাঃ সন্দীপ সান্যাল কে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বহরমপুর থানার অন্তর্গত বুডাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বুলবাহার শেখ। জানা গিয়েছে, তিনি বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভুগছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতাল রোগীকে মোটা টাকার বিনিময়ে ছাড়া হবে বলে জানায়। মোট ২ লক্ষ টাকার বিল হয়। সেই বিল মেটাতে পারলেই রোগীকে ছাড়া হবে বলে জানায় চিকিৎসক।

এরপর স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর আত্মীয়রা। এরপর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরেও অভিযোগ জানান। কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোথাও থেকেই কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

এরপর আজ হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের নেতৃত্বে রোগীর পরিবার বহরমপুরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যাল কাছে আসেন। ডাক্তার শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। তখনই রোগীর আত্মীয়রা ডাঃ সন্দীপ সান্যালকে হেনস্থা ও মারধর করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ প্রশাসন। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘সিএমওএইচ-এর এখানে কী করার আছে আমি জানি না। ওনার উপর হামলা করে সমস্যার সমাধান হবে? পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল গ্রামে ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে। আজকে এই রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নেই। একজন সিএমওএইচ-কে মেরেধরে কোনও লাভ হবে না। কারণ রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে দেখুন।’ অপরদিকে, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘এটা নিন্দনীয় বিষয়। করোনার সময়ে চিকিৎসকরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে সকলের জন্য কাজ করেছিলেন। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা নিন্দনীয়। যেখানে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন চিকিৎসক দরদী। নির্দেশ রয়েছে যে চিকিৎসক নিগ্রহ হলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা প্রতিহত করতে হবে। আমি নিজে কেন্দ্র সরকারের কাছে বারবার দাবি করেছিলাম সেন্ট্রাল অ্যাক্ট আনার জন্য কিন্তু তা হয়নি। আমি আবেদন করব প্রশাসনকে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।’ অপরদিকে, ওই বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, ‘ওরা যেটা করেছে সেটা ভুল করেছে। না বুঝে করে ফেলেছে। ওরা অবুঝ’

 

 

 

 

 

 

 

 

বহরমপুর(মুর্শিদাবাদ): বহরমপুরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে মারধর রোগীর আত্মীয়দের। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস ও বিধায়কের সামনেই মারধর করা হল ডাঃ সন্দীপ সান্যাল কে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বহরমপুর থানার অন্তর্গত বুডাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বুলবাহার শেখ। জানা গিয়েছে, তিনি বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভুগছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতাল রোগীকে মোটা টাকার বিনিময়ে ছাড়া হবে বলে জানায়। মোট ২ লক্ষ টাকার বিল হয়। সেই বিল মেটাতে পারলেই রোগীকে ছাড়া হবে বলে জানায় চিকিৎসক।

এরপর স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর আত্মীয়রা। এরপর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরেও অভিযোগ জানান। কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোথাও থেকেই কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

এরপর আজ হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের নেতৃত্বে রোগীর পরিবার বহরমপুরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যাল কাছে আসেন। ডাক্তার শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। তখনই রোগীর আত্মীয়রা ডাঃ সন্দীপ সান্যালকে হেনস্থা ও মারধর করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ প্রশাসন। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘সিএমওএইচ-এর এখানে কী করার আছে আমি জানি না। ওনার উপর হামলা করে সমস্যার সমাধান হবে? পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল গ্রামে ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে। আজকে এই রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নেই। একজন সিএমওএইচ-কে মেরেধরে কোনও লাভ হবে না। কারণ রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে দেখুন।’ অপরদিকে, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘এটা নিন্দনীয় বিষয়। করোনার সময়ে চিকিৎসকরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে সকলের জন্য কাজ করেছিলেন। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা নিন্দনীয়। যেখানে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন চিকিৎসক দরদী। নির্দেশ রয়েছে যে চিকিৎসক নিগ্রহ হলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা প্রতিহত করতে হবে। আমি নিজে কেন্দ্র সরকারের কাছে বারবার দাবি করেছিলাম সেন্ট্রাল অ্যাক্ট আনার জন্য কিন্তু তা হয়নি। আমি আবেদন করব প্রশাসনকে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।’ অপরদিকে, ওই বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, ‘ওরা যেটা করেছে সেটা ভুল করেছে। না বুঝে করে ফেলেছে। ওরা অবুঝ’

 

 

 

 

 

 

 

 

Next Article