বহরমপুর : একটা ঘটনা, হাজারো বজ্র আঁটুনি। বহরমপুর সার্কিট হাউস, জেলাশাসকের বাংলো ও জেলা গ্রন্থাগারের পাশে বহরমপুর গার্লস কলেজের হোস্টেলের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় বহরমপুর পুরসভার পক্ষ থেকে। সেখানে পুরসভার পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে নিরাপত্তাজনিত কারণে এই হোস্টেলের সামনে দোকান, ঠেলাগাড়ি বসা যাবে না। বহরমপুরের মেসে ছাত্রীর খুনের ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সুর চড়িয়েছিল অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। এবার এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বহরমপুর পুরসভা।
প্রথমেই যে সব বাড়িতে মেস ভাড়া দেওয়া হয়, সেই সব তথ্য পুরসভার পক্ষ থেকে সংগ্ৰহ করা হবে। কেউ যদি তথ্য গোপন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই জানিয়েছেন বহরমপুর পুরসভার পুরপিতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও সুশান্ত যে মেসে উঠেছিল, সেই মেস বাড়িটি ছিল “হাউস ফর অল” প্রকল্পের ঘর। সেটিকেই মেস বাড়িতে রূপান্তর করেছিলেন বাড়ির মালিক। সেই বিষয়েও পুরসভার পক্ষ থেকে তদন্তের কথা বলেছিলেন পুরপিতা। এবার বহরমপুর গার্লস কলেজের হোস্টেলের বাইরে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হল পুরসভার পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, বহরমপুরের কলেজ ছাত্রী সুতপা থাকত একটি মেস বাড়িতে। পুলিশি তদন্তে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, সুতপাকে খুনের ১৫ দিন আগে থেকেই সেখানে একটি মেস বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল সুশান্ত। ঠান্ডা মাথায় খুনের ছক কষেছিল। ওই মেস বাড়ির মালকিন যখন জিজ্ঞেস করেছিল, কোন কলেজে পড়ে, সে বলেছিল কোচিং নিতে এখানে এসেছে। মেসে থেকে কোচিং নেবে। মাত্র একটা ব্যাগ নিয়েই মেস বাড়িতে উঠেছিল সুশান্ত। এই ১৫ দিনে তার সঙ্গে কেউ দেখাও করতে আসেনি বলে জানিয়েছেন ধৃত সুশান্তের মেসের মালকিন। ধৃত সুশান্তের বাড়ি মালদায়। সেখান থেকে বহরমপুরে এসে মেস বাড়ি ভাড়া নিয়ে এলাকার অলি গলি সব দেখে নেয়। তারপরই ঠান্ডা মাথায় খুন করে সুতপাকে।