Threat Call: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষককে অশ্লীল ভাষায় হুমকি-ফোন! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
Threat Call: পঞ্চায়েত প্রধানের ফোন আসে বলে দাবি বৃদ্ধের। তিনি বলেন, জাহাঙ্গিরকে পুত্রসম স্নেহ করি। কিন্ত ওইদিন সে হঠাৎ উত্তেজিত ভাবে কথা বলা শুরু করে। কাল্পনিক দোষে আমাকে দায়ী করতে থাকে।
মুর্শিদাবাদ: বাড়ির অদূরে চলছিল গণ্ডগোল। দু পক্ষের মধ্যে অশান্তিতে আহতও হন কয়েনজন। সেই অশান্তির পরই রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে আসে হুমকি ফোন! ওই অশান্তি নাকি তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছে, এ কথা বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ ৮০ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমান। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। রানিনগর থানায় ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, ওই শিক্ষক একসময় সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় অনেক ঝামেলা হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। এবারও সেভাবেই অশান্তি তৈরি করছিলেন বলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ডোমকল বিটি হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক আতাউর রহমান। রানিনগর থানা এলাকার মালিবাড়িতে ওই শিক্ষকের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় একটি ঝামেলা হয় গত সোমবার।
আতাউর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন তিনি। বাড়ির অদূরে হট্টগোল শুনতে পান সন্ধ্যার দিকে। এর কিছুক্ষণ পরই এএসআই তাঁর বাড়িতে যান। খোঁজ খবর নেন, কুশল বিনিময় করেন। এরপরই পঞ্চায়েত প্রধানের ফোন আসে বলে দাবি বৃদ্ধের। তিনি বলেন, জাহাঙ্গিরকে পুত্রসম স্নেহ করি। কিন্ত ওইদিন সে হঠাৎ উত্তেজিত ভাবে কথা বলা শুরু করে। কাল্পনিক দোষে আমাকে দায়ী করতে থাকে। বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেয়। অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করে, যা আমি উচ্চারণ করতে পারব না। ৮০ বছর বয়সে এমন অশ্লীল হুমকি শুনতে হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেছেন তিনি। বলেন, বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছি।
অন্যদিকে, জাহাঙ্গির আলম বলেন, আমি জানি উনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত। সিপিএম আমলে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন আতাউর রহমান। তাঁর নেতৃত্বে ৬ জন খুন হয়েছিলেন। এখন আবার ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করছেন। সোমবারের অশান্তিতে রাজেশ খাঁ নামে এক যুবককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘ওঁকে আমি সম্মান করি। তবে যা বলেছি জনগণের স্বার্থে বলেছি।’ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।