মুর্শিদাবাদ: জেলায় প্রতিদিনই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের খবর উঠে আসে। কখনও হামলা, কখনও খুন রোজই কোনও না কোনও খবর আসতে থাকে এলাকা থেকে। আরও একবার ঝামেলা শাসকদলের অন্দরে। অন্তত এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে লক্ষ করে একের পর এক বোমাবাজি। ঘটনায় জখম তিনি।
মুর্শিদাবাদের চৈতন্যপুর এক নম্বর এলাকা। সেখানকার শাসক দলের অঞ্চল সভাপতি নুরজামাল শেখ।গতকাল রাতে একটি মিটিং শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় পথে ছত্ত্বরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হন তিনি। পরে চিকিৎসকের কাছে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
গত ২০ তারিখও একই ভাবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বোমা মারা ঘটনা ঘটে। অভিযোগের আঙুল উঠল তৃণমূল কর্মীরই বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে জখম হয়েছে তৃণমূল নেতা বাবর আলি। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তৃণমূল কর্মীর শাহজাহানই এই কাজ করেছে বলে দাবি বাবরের। বাবরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তাঁকে সরিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হওয়াই শাহজাহানের মূল উদ্দেশ্য।
এ দিন বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন বাবর। যাওয়ার সময়ই রাস্তায় বোমা মারা হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। বোমার আঘাতে আহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগের তির ওই গ্রামের তৃণমূল কর্মী শাহজাহানের দিকে। ঘটনায় আহত ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাবর আলির আত্মীয় সিটু জানান, দ্বন্দ্ব ছিল অনেক দিন ধরেই। রাজনৈতিক হিংসার এই ঘটনার পিছনে কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। তিনি জানান, বাবরকে সরিয়ে পঞ্চায়েতের সদস্য হতে চায় শাহজাহান।
আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ত্রিপুরায় তুলকালাম! শাহের দরবারে নালিশ জানাতে পারে তৃণমূল