TMC leader murder: সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানো হয় তৃণমূলের মতিরুলকে, পুলিশের জালে ২

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 26, 2022 | 2:55 PM

TMC murder: নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা মতিরুল গত বৃহস্পতিবার একটি কাজের জন্য মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন তিনি।

TMC leader murder: সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানো হয় তৃণমূলের মতিরুলকে, পুলিশের জালে ২
পুলিশের জালে সুপারি কিলার

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: নওদা খুনের ঘটনায় শনিবার ভোরে দুজনকে গ্রেফতার করা হল নদিয়ার থানাপাড়া এলাকা। তাঁদের দুজনকে আটক করে নওদা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম
সাইদ বিশ্বাস ওরফে বিশ্বজিৎ ও খতিব মণ্ডল ওরফে ইস্রাফিল। বিশ্বজিতের বাড়ি নদিয়ার থানারপাড়ার সাদিপুর এলাকার বাসিন্দা। আর ইস্রাফিলের বাড়ি থানাপাড়া এলাকার টোপলা গ্ৰামে। ইস্রাফিল এই ঘটনায় সুপারি কিলারের কাজ করেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

ধৃত ইস্রাফিলকে গ্রেফতার করে জেলা আদালতে পেশ করা হয়। সাঈদ বিশ্বাসকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে মতিরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে তৃণমূলের সভাপতি সহ ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল,  তাঁদের মধ্যে কাউকেই আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সামনে আসে।

পরিবারের পক্ষ থেকে নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শফিউজ্জামান শেখ ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতের স্ত্রী সিআইডি তদন্তের দাবিও জানান।

নদিয়ার নারায়ণপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী মতিরুল নিজেও করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। তাঁদের ছেলে নওদার একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। তার সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যেই নওদা যেতেন মতিরুল। বৃহস্পতিবারও সেখানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই মোটরবাইক আটকে বোমা মারা হয়। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে গুলি করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাতের শিরায় ব্লেড দিয়ে কাটা হয় বলেও অভিযোগ।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বসিরহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কনস্টেবল।

 

Next Article