TMC MLA Jakir Hossain: ‘সবই শ্রমিক আর কৃষকদের টাকা’, ১০ কোটি উদ্ধারের পর বললেন তৃণমূল বিধায়ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 12, 2023 | 2:36 PM

TMC MLA Jakir Hossain: বুধবার একটানা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে মুর্শিদাবাদের একাধিক বিড়ি কারখানায়। শুধুমাত্র জাকিরের 'শিব বিড়ি' কারখানা থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৮ কোটি টাকা।

TMC MLA Jakir Hossain: সবই শ্রমিক আর কৃষকদের টাকা, ১০ কোটি উদ্ধারের পর বললেন তৃণমূল বিধায়ক
আয়কর নজরে জাকির হোসেন

Follow Us

মুর্শিদাবাদ : বিড়ি কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। বৈধ নথি না পেয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। মুর্শিদাবাদের সেই বিড়ি কারখানার মালিক তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের দাবি, ওই সমস্ত টাকাই তাঁর কারখানার শ্রমিকদের বা কৃষকদের। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী’র ব্যক্তিগত টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছে বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও আধিকারিকরা তা গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক। বুধবার একটানা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে মুর্শিদাবাদের একাধিক বিড়ি কারখানায়। শুধুমাত্র জাকিরের ‘শিব বিড়ি’ কারখানা থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৮ কোটি টাকা। এছাড়া আরও তিনটি বিড়ি কারখানা, রাইস মিল মিলিয়ে আরও ২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

‘সবই শ্রমিক আর কৃষকদের টাকা…’

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার কারখানায় ৭০০০ শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের টাকা নগদেই মেটাতে হয়। জাকিরের রাইস মিল থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা প্রসঙ্গে বিধায়কের দাবি, কৃষি ক্ষেত্রে নগদ টাকাই ব্যবহার করা হয়। সবই ধান কেনার টাকা, আর কৃষকদের টাকা। বাড়িতে গিয়ে আধিকারিকেরা সামান্য টাকা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। বিধায়ক আরও জানান, তাঁর স্ত্রীর ব্যক্তিগত টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর কথায়,বাড়ির মেয়েরা টাকা আলাদা করে রাখে। সেই টাকাও নিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু একটি কারখানায় ৮ কোটি টাকা কেন? বিধায়কের দাবি, নিরাপত্তার কারণে সব টাকা বাড়িতে রাখা সম্ভব হবে না।

টাকা না পেলে বিক্ষোভ দেখাবে!

জাকির হোসেন দাবি করেছেন, শ্রমিক ও কৃষকদের টাকা রাখা ছিল। সে সব টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাই টাকা না পেলে সেই শ্রমিক বা কৃষকেরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রচুর মানুষকে আমরা কাজ দিই। সেটা যেন ব্য়হত না হয়।’

শাসক দলের বিধায়কের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার যোগ সামনে আসায় বিরোধীরা যখন আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন, তখন বিধায়ক বলছেন, ‘আইন আইনের পথেই চলবে। তৃণমূল করি বলে এমনটা করা হয়ে থাকতে পারে।’ এইভাবে গ্রামের লোকের রুজি রোজগারে থাবা বসিয়ে মনোবল ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

Next Article