মুর্শিদাবাদ: হাত আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই ২১ জুলাই শহিদ স্মরণে মাঠে নামবে ঘাসফুল ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় হচ্ছে প্রস্তুতি সভা। করোনা সঙ্কটের জেরে বিগত ২ বছর ভার্চুয়ালি হয়েছিল ২১ জুলাইয়ের সভা (21 July TMC Meeting)। রাস্তাতে দেখা যায়নি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। তবে করোনা উদ্বেগ খানিক কমতেই এবার ধর্মতলায় ফের ২১ জুলাইয়ের সভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস(Trinamool Congress)। সেই সভাতে যোগ দিতেই একেবারে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে পায়ে হেঁটে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন দুই যুবক। ২৫০ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়েছেন পা হেঁটেই।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে একেবারে ডুয়ার্স থেকে পায়ে হেঁটে পাড়ি দেন শঙ্কর ভট্টাচার্য। ৭৫০ কিলোমিটার পর পাঁয়ে হেঁটেই অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এমনকী পরের লোকসভা নির্বাচনে মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি পায়ে হেঁটে ডুয়ার্স থেকে দিল্লি যাবেন বলেও জানান। এবার যেন একই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল মুর্শিদাবাদের বিষ্ণু সরকার এবং অসিত সরকারের পায়ে হেঁটে কলকাতা যাত্রায়। শুক্রবার বিকালে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছেন মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া বাজার এলাকা থেকে। গলায় ঝুলছে মমতার ছবি। এলাকায় তাঁরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলেই পরিচিত। তাঁদের এই কর্মকাণ্ডে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে জেলার ঘাসফুল শিবিরে। এদিকে যাত্রা শুরুর সময় সাগরপাড়া বাজারে এই দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে দলের উত্তরীও পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান জলঙ্গী বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক।
বিধায়ক বলেন, “সব সময় কোনও অনুষ্ঠানে কত লোক হল তা দিয়ে সাফল্য বিচার করা যায় না। ২ জন ছেলে যে এই সাহস দেখিয়েছে তা দেখে আমি অবাক। শহিদদের জন্য ওদের এই শপথ আমাকে মুগ্ধ করেছে। ” এ প্রসঙ্গে বিষ্ণু সরকার বলেন,“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই, স্পন্দন, গতি আমাক মুগ্ধ করে। রাজনীতি মানেই তো মানুষের সেবা করা। তাই আমার মনে হয়েছে দলের পাশে থাকতে এই ২০০ কিলোমিটারের যাত্রা আমরা করব। নিজেদের সবটুকু আমরা দেব। এটা এমন কিছু শক্ত কাজ নয়। আমরা চাই তৃণমূলের এই লড়াই দেখে রাজ্যের যুব সম্প্রদায় আরও বেশি করে দলের প্রতি আকৃষ্ট হোক।”