মুর্শিদাবাদ: রাতে শৌচগারে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল কিশোরী। গভীর রাতে বাড়ি ফেরে সে। মাঝের এই সময় বাড়ির লোকজন খুঁজতে বেরোয় কিশোরীকে। অভিযোগ, ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন স্থানীয় এক যুবক। একইসঙ্গে হুমকি দেন, যদি এই বিষয়ে কেউ কিছু জানতে পারে তা হলে প্রাণে মেরে দেবেন কিশোরীকে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অভিযোগ, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী বুধবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ির বাইরে শৌচকর্মে গিয়েছিল। এরপর ১০টা বেজে গেলেও মেয়ে ঘরে ফেরেনি। বহু খোঁজের পর রাত প্রায় ২টো নাগাদ ওই কিশোরী বাড়ি ফেরে। জানা যায়, এলাকারই এক যুবক ওই কিশোরীকে স্থানীয় এক আমবাগানে নিয়ে যায়। অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করা হয়। একইসঙ্গে পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয়, কেউ কিছু জানতে পারলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। ঘরে ফিরে ভয়ে এক কোণে বসেছিল সে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত কয়েকদিনে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে রাজ্যে। গত ১২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার ধর্ষণের মামলা ওঠে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মূলত উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া ও দেগঙ্গা, মালদার ইংরেজবাজার এবং কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ঘটনার তদন্তে এই কমিটি তৈরি হয়। সেই তদন্ত কমিটির মাথায় বসানো হয় আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে।
নদিয়ার গাংনাপুরে গত ৬ মার্চ বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনার তদন্তও দময়ন্তী সেনকে দিয়ে করানোর আর্জি নিয়ে বৃহস্পতিবারই আদালতে যান নির্যাতিতার পরিবার। কারণ হিসাবে ওই পরিবার দাবি করে, পুলিশের উপর তাদের আস্থা নেই। পুলিশের কাছ থেকে তারা কোনওরকম সহযোগিতা পাচ্ছে না বলেও দাবি করে। শুক্রবারই হয়ত এই মামলার শুনানি হবে। অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নির্যাতিতাদের পরিবার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নিশানায়ও রাজ্য প্রশাসন। কেন এভাবে বারবার নারী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে তা প্রশ্নের অবকাশ রাখে।
আরও পড়ুন: Teacher Arrested: ছাত্রী ব্যালকনিতে না এলে মন ভাল লাগে না স্যরের, এরপর যা পরিণতি হল শিক্ষকের…