মুর্শিদাবাদ: অপহরণ করে খুনের ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুক্রবার বহরমপুর থানার উত্তরপাড়ায় নিহত বাপ্পা মণ্ডলের (২৪) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অধীর। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইদানিং অপহরণ করে খুনের একটা ট্রেন্ড তৈরি হচ্ছে বাংলায়। এই ধরনের অপরাধ কড়া হাতে দমন করা হোক, দাবি অধীরের।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আমরা বারবার বলেছি এ রাজ্যে অপরাধের নতুন তালিকা তৈরি হচ্ছে। আমরা গরু পাচাররাজ দেখলাম, কয়লা পাচাররাজ দেখলাম, বালি পাচাররাজ দেখলাম, সিন্ডিকেটরাজ দেখলাম। নতুন করে এ বাংলা ক্রমশ অপহরণরাজের দিকে এগিয়ে চলেছে। একটার পর একটা অপহরণ, টাকা আদায়ের জন্য হুমকি, না হলে খুন। পরপর ঘটনাক্রম দেখলে বোঝা যাবে। বাগুইআটি, কসবা, ইলামবাজার, বহরমপুর। বিচ্ছিন্নভাবে এ ঘটনা ঘটলেও এরকম পরিস্থিতি ছিল না। এই অপরাধগুলো কারা করছে? এখানে গোটা পাড়া যে ছেলেটাকে ভদ্র, নম্র, সভ্য বলে চেনে তাঁকে কিডন্যাপ করে নিল, টাকা চাইছে। টাকা নিয়ে দর কষাকষি করছে। তারমধ্যে তাঁদের ধৈর্য হল না। খুন করে দিল বাচ্চা ছেলেটাকে।”
বুধবার বহরমপুরের উত্তরপাড়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বাপ্পা মণ্ডলের (২৪)। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দুই বন্ধুর সঙ্গে তিনি বেরিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপর রাত ৮টা নাগাদ ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বাপ্পার বাবার কাছে। বাপ্পারই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বহরমপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পরিবার পুলিশকে জানায় তারা টাকা দিতে রাজি।
পরিবারের দাবি, পুলিশকে জানিয়েই সেই টাকা দিতে যায় পরিবারের লোক। এদিকে ১১টা নাগাদ মুক্তিপণ নিয়ে বেলডাঙা পৌঁছলে অপহরণকারীরা ‘চালাকি করছিস’ বলে ফোন কেটে দেয় বলে দাবি পরিবারের। এরপর ফোনের সুইচও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার সকালে বহরমপুর থানার ফতেপুরে একটি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় বাপ্পার দেহ।