Murder: তিনদিনেই রহস্য ভেদ, মুর্শিদাবাদে যুবক খুনে আর্থিক লেনদেনই কারণ মনে করছে পুলিশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 02, 2022 | 12:55 PM

Murshidabad News: রবিবার সাংবাদিক বৈঠক মুর্শিদাবাদের পুলিশসুপার কে শবরী রাজকুমার জানান, এর আগেও অপরাধে জড়িয়েছে আক্রমের নাম। বিস্তারিত তদন্তে তাঁরা সবটাই জানার চেষ্টা করছেন।

Murder: তিনদিনেই রহস্য ভেদ, মুর্শিদাবাদে যুবক খুনে আর্থিক লেনদেনই কারণ মনে করছে পুলিশ
পুলিশসুপার কে শবরী রাজকুমার।

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: বহরমপুর থানার উত্তরপাড়ার বাপ্পা মণ্ডল খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন একজন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাপ্পার ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে মুক্তিপণের দাবিতে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাড়ির লোক। সেই ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হল আক্রম শেখ নামে এক যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রম ও বাপ্পা পূর্ব পরিচিত। টাকাপয়সার লেনদেন সংক্রান্ত কোনও ঝামেলার কারণেই এই ঘটনা বলে আক্রম জেরার মুখে জানিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেরা করা হচ্ছে আক্রমকে।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক মুর্শিদাবাদের পুলিশসুপার কে শবরী রাজকুমার জানান, এর আগেও অপরাধে জড়িয়েছে আক্রমের নাম। বিস্তারিত তদন্তে তাঁরা সবটাই জানার চেষ্টা করছেন। বাপ্পা মণ্ডলকে খুনের কথা আক্রম স্বীকারও করেছেন। একইসঙ্গে দাবি করেছেন, তিনি এই ঘটনায় একাই যুক্ত। পুলিশসুপার জানান, আক্রম জানিয়েছেন তিনি আগে থেকে বাপ্পাকে চিনতেন।

বাপ্পার কাছে আক্রম টাকা পেতেন, কিন্তু সেই টাকা কোনওভাবে তাঁকে দেওয়া হচ্ছিল না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ধৃত। এরপরই একেবারে আটঘাট বেঁধে ২৮ তারিখ বাপ্পাকে ফোন করে ডেকে পাঠান। পুলিশসুপারের কথায়, “খুনের মোটিভ যেটা জানা যাচ্ছে, টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে এক সমস্যা ছিল। ধৃতের বক্তব্য, ও টাকা পায়। এই টাকার দাবি করে। বাপ্পা তা দেননি। টাকার খুব দরকার ছিল আক্রমের। সেদিন বিকেলে ফোনে কথোপকথন হয়। দু’জন দেখাও করেন। বাপ্পা নিজেই গিয়েছিলেন সেখানে। সেখানে কিছু একটা হওয়ার পরই আক্রম তাঁকে মারেন বলে জানিয়েছেন।” যদিও পুলিশ সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত করছে।

বাপ্পা মণ্ডল (২৪) ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বেরিয়ে যান। এরপর রাত ৮টা নাগাদ ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বাপ্পার বাবার কাছে। বাপ্পারই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। পরিবার বহরমপুর থানায় যোগাযোগ করে টাকা দিতে রাজিও হন। কিন্তু তারপর কোনওভাবেই ওই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। পরদিন বাপ্পার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মনে করছে, বাপ্পাকে খুনের পর টাকা চেয়ে ফোন করা হয়েছিল তাঁর বাড়িতে।

Next Article