মুর্শিদাবাদ: রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সফরের আগে মুর্শিদাবাদ বিজেপিতে (BJP) ভাঙন। দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার ও জেলার কর্ম সমিতির সদস্য তড়িৎকান্তি সরকার। গত রবিবারই রাজ্য সম্পাদক গৌরীশঙ্কর ঘোষ পদ ছেড়েছেন। একই সঙ্গে পদ ছাড়েন দুই রাজ্য কর্মসমিতির সদস্যও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল প্রতাপ হালদার ও তড়িৎকান্তি সরকারের নাম। বিজেপির সাংগঠনিক দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রতাপ। জেলা কর্মসমিতির সদস্য তড়িৎ সরকার। সূত্রের খবর, সোমবারই জেলা সফরে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তার ২৪ ঘণ্টা আগে এমন ঘটনায় নিঃসন্দেহে বিড়ম্বনা বাড়ল বিজেপির। দুই পদত্যাগীর দাবি, দলে তাঁদের কথা শোনা হয় না, সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়েও কারও মাথা ঘামানো নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত।
জেলা বিজেপির পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার বলেন, “আমার ছ’ বছর হয়ে গেছে। তাই জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখলাম আমাদের যিনি বর্তমান জেলা সভাপতি আছেন, উনি আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কোনও বৈঠকে ডাকছেন না। সোমবার রাজ্য সভাপতির সভা। অথচ কিছু জানাল না। আমি দলে কাজ করতে চাই। কিন্তু সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তারই এটা প্রতিবাদ। কাজের জন্যই এসেছি। ৩৩ বছর ধরে সংগঠনটা করি।”
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল সেই দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “অভিযোগ করার জায়গা সংবাদমাধ্যম নয়। তাই যাঁরা ভাবছেন সংবাদমাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে বলে সারাদিন টেলিভিশনে মুখ দেখাব, তাঁরা তাঁদের মতো করে চলছেন। কারও বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে নির্দিষ্ট জায়গা আছে। সেখানে গিয়ে বলতে হবে। বিজেপিতে অভিযোগ জানানোর জায়গা কম নেই। সেখানে না বলে সংবাদমাধ্যমে বলে যদি ভাবেন সমাধান হবে, তা হলে সেটা সংবাদমাধ্যমকেই সমাধান করতে হবে। আমার বিচার্য বিষয়ই নয়। আমারও যা বলার দলকে বলব। আমার কাছে কোনও পদত্যাগ পত্র আসেওনি।” একইসঙ্গে শাখারভ সরকার বলেন, এখন এসব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিজেপির ব্যস্ততা সোমবারের কর্মসূচি নিয়ে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিপ্রদান আছে।
মুর্শিদাবাদ: রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সফরের আগে মুর্শিদাবাদ বিজেপিতে (BJP) ভাঙন। দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার ও জেলার কর্ম সমিতির সদস্য তড়িৎকান্তি সরকার। গত রবিবারই রাজ্য সম্পাদক গৌরীশঙ্কর ঘোষ পদ ছেড়েছেন। একই সঙ্গে পদ ছাড়েন দুই রাজ্য কর্মসমিতির সদস্যও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল প্রতাপ হালদার ও তড়িৎকান্তি সরকারের নাম। বিজেপির সাংগঠনিক দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রতাপ। জেলা কর্মসমিতির সদস্য তড়িৎ সরকার। সূত্রের খবর, সোমবারই জেলা সফরে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তার ২৪ ঘণ্টা আগে এমন ঘটনায় নিঃসন্দেহে বিড়ম্বনা বাড়ল বিজেপির। দুই পদত্যাগীর দাবি, দলে তাঁদের কথা শোনা হয় না, সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়েও কারও মাথা ঘামানো নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত।
জেলা বিজেপির পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার বলেন, “আমার ছ’ বছর হয়ে গেছে। তাই জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখলাম আমাদের যিনি বর্তমান জেলা সভাপতি আছেন, উনি আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কোনও বৈঠকে ডাকছেন না। সোমবার রাজ্য সভাপতির সভা। অথচ কিছু জানাল না। আমি দলে কাজ করতে চাই। কিন্তু সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তারই এটা প্রতিবাদ। কাজের জন্যই এসেছি। ৩৩ বছর ধরে সংগঠনটা করি।”
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল সেই দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “অভিযোগ করার জায়গা সংবাদমাধ্যম নয়। তাই যাঁরা ভাবছেন সংবাদমাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে বলে সারাদিন টেলিভিশনে মুখ দেখাব, তাঁরা তাঁদের মতো করে চলছেন। কারও বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে নির্দিষ্ট জায়গা আছে। সেখানে গিয়ে বলতে হবে। বিজেপিতে অভিযোগ জানানোর জায়গা কম নেই। সেখানে না বলে সংবাদমাধ্যমে বলে যদি ভাবেন সমাধান হবে, তা হলে সেটা সংবাদমাধ্যমকেই সমাধান করতে হবে। আমার বিচার্য বিষয়ই নয়। আমারও যা বলার দলকে বলব। আমার কাছে কোনও পদত্যাগ পত্র আসেওনি।” একইসঙ্গে শাখারভ সরকার বলেন, এখন এসব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিজেপির ব্যস্ততা সোমবারের কর্মসূচি নিয়ে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিপ্রদান আছে।