বড়ঞা: মাত্র এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। রয়েছে এক সন্তানও। বছর কুড়ির ওই মহিলা ছিলেন নিখোঁজ। এ দিক-ওদিক খোঁজও নিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। আর তারপর মিলল তাঁর খোঁজ। একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর মৃতদেহ। যখন তাঁকে জল থেকে তোলা হয়েছে সেই সময় ভেজা শরীরে জড়িয়ে রয়েছে শাড়ি। আলুথালু অবস্থায় চুল। ঠিক কী হয়েছিল তাঁর?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধুর নাম হামিদা খাতুন ( ২০)। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন হামিদা। এরপর আজ তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় গ্রামের পুকুরে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়ায় বড়ঞা থানার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে।
বস্তুত, সূত্রের খবর-এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল এই গৃহবধূর। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা দাবি করেছে গৃহবধূ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গতকাল থেকে নিখোঁজ থাকার পর আজ তাঁর দেহ গ্রামের বাসিন্দারা দেখতে পান। সেখান থেকেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “আজ দশটা নাগাদ জলের মধ্যে ভাসছিল। কেউ একজন এসে বলল তোমাদের বউ ভাসছে। তারপর ওকে তুলে আনা হয়। তারপর থানা পুলিশ হয়েছে।”