জঙ্গিপুর: কাজের খোঁজে নানা এলাকায় ঘুরে বেড়াত। নিজের পরিচয় দিত জেসিবি চালক হিসাবে। এমনকী নিজেকে অনাথ বলেও দাবি করত। ভুয়ো পরিচয়, ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে যোগ দিত কাজে। থাকত এলাকাতেই। অভিযোগ, তারপর এলাকার মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে করত বিয়ে। শেষে নববধূর গয়না নিয়ে দিত গা ঢাকা। একটা, দুটো নয়, একই কায়দায় একেবারে ২ ডজন বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে আসাবুল মোল্লা নামে বছর আঠাশের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে পুলিশের জালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে সাগরদীঘির বালিয়ার এক মহিলা সাগরদীঘি থানায় অভিযোগ করেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী তাঁর সমস্ত সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে। কিছুতেই মিলছে না খোঁজ। এরপর থেকেই ওই যুবকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তবে তাঁর টিকির দেখা পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে গোপন সূত্রে ওই যুবকের খোঁজ পায় পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সাগরদীঘি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। দত্তপুকুর এলাকাতেই অভিযুক্তের আসল বাড়ি বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর কাছ থেকে নান নথিও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় কাজে যায় সেই এলাকায় বিয়ে করে তারপর কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে কাটায় ওই যুবক। পরবর্তীতে সেখান থেকে টাকা, সোনা হাতিয়ে পালিয়ে যায়। আর খোঁজ পাওয়া যায় না তাঁর। মোবাইল নম্বরেও আর লাগে না ফোন। বাংলার একাধিক জেলায় তাঁর এই ধরনের কীর্তির খোঁজ পেয়েছে। ২৪ জন মহিলাকে বিয়েও করেছেন বলে জানা যায়। ধৃত আসাবুল মোল্লার বাড়ি বারাসাত থানা এলাকার কাজীপাড়ায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিন ধৃতকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় সাগরদীঘি থানার পুলিশ।