Mysterious Death: আবগারি দফতরের হেফাজতে থাকাকালীন ব্যক্তির রহস্য-মৃত্যু, মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
বহরমপুর: চোলাই মদ বিক্রির অভিযোগে আবগারি দফতরের আধিকারিকদের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরে আবগারি দফতরের হেফাজতে থাকাকালীনই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামে। আবগারি দফতরের হেফাজতে থাকাকালীন ব্যক্তির রহস্য-মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পরে নবগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সোম টুডু। নবগ্রামের ফলসবাদ এলাকার বাসিন্দা সোম টুডু চোলাই মদ বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ। আবগারি দফতরের হেফাজতে থাকাকালীনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এদিন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে নবগ্রাম থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ফলসবাদ এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ সহ সোম টুডুকে আটক করেন নবগ্রাম আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর আবগারি দফতরের হেফাজতে থাকাকালীনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন সকালে সোম টুডুর অসুস্থতার খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। তারপর আবগারি দফতরের তরফেই তাঁকে প্রথমে নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকেরা। এরপর এদিন দুপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সোম টুডুর।
আবগারি দফতরের হেফাজতে থাকাকালীন সোম টুডু কেন অসুস্থ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর পরিবার। সোম টুডুর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে দেখতে নারাজ তাঁরা। ফলে সোম টুডুর মৃতদেহ গ্রামে ফিরতেই বিক্ষোভ দেখান তাঁর পরিবার ও গ্রামবাসী। যদিও ওই ব্যক্তি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন বলে দাবি আবগারি দফতরের। নবগ্রাম আবগারি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সোম টুডুকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। সম্ভবত তাঁর টিবি ছিল। কেননা অতিরিক্ত কাশি হচ্ছিল।” সেই অসুখের জেরেই সোম টুডুর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর দাবি। তবে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবার। এরপরই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায় নবগ্রাম থানার পুলিশ।