কল্যাণী: হোস্টেলের ঘরে সন্ধ্যার পরই উঁকি দিচ্ছে কেউ। এর আগেও নানা রকমভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ছাত্রীরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kalyani University) লেডিজ় হোস্টেলে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীর আনাগোনার অভিযোগ। নিরাপত্তার দাবিতে সকালবেলায় হোস্টেলের বাইরে বেরিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ছাত্রীরা। ছাত্রীদের অভিযোগ, বুধবার রাতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এল এইচ – ১ ছাত্রীদের মাতঙ্গিনী হোস্টেলে এক দুষ্কৃতী ঢুকে ছাত্রীদের বাথরুমে উঁকি মারে। বিষয়টি দেখে ফেলেছিলেন এক ছাত্রী। এরপর শুরু হয় হই হট্টগোল। হোস্টেলের ভোরের আলো ফুটতেই হোস্টেলের বাইরে বেরিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ছাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। আরও অভিযোগ, এরকম ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কল্যাণী থানার পুলিশ। পরে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার।
ছাত্রীর বক্তব্য, “আমাদের এই বিষয়টা আগেও রেজিস্ট্রারকে বলেছিলাম। বলেছিলেন দেখবেন বলে। কিন্তু কিছুই যে পরিবর্তন হয়নি, সেটার প্রমাণ মিলল তো এদিনই। আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।” ছাত্রীদের অভিযোগ, এপ্রিল মাস থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রথম প্রথম হস্টেলের ঘর থেকে মেয়েদের অন্তর্বাস চুরি হত। তারপর টাকা পয়সা, মোবাইলও চুরি হতে থাকে। বিষয়টি তাঁরা হস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। এমনকি গ্যাস সিলিন্ডারও চুরি হয়েছে। প্রথমে বলা হচ্ছিল, মেয়েরাই চুরি করছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ, “প্রত্যেকবারই আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।” কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মানসকুমার সান্ন্যাল বলেন, “আমি সবটা শুনে নিজেই এসেছি দেখতে। দেখলাম বাথরুমের কাচ ভাঙা। যেখানে আলো জ্বলছে না, সবই ঠিক করে দেব। সিসিটিভির বিষয়টা লাগানোর ব্যবস্থা চলছে। একটা তদন্ত কমিটি তৈরি করেছি। ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। কল্যাণী থানার পুলিশও পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করবে। মেয়েদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে যে টিম রয়েছে, সেটা গোটাটাই বদলে দেব।”