Nadia: কেবল একটাই ইয়ার্কি মেরেছিল, হাত-পা বেঁধে পিঁপড়ের চাকে ফেলে রাখল পাঁচ বছরের শিশুকে! কেন?

Mahadeb Kundu | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 18, 2024 | 5:09 PM

Nadia: বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে ওই বাচ্চাটার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে সে বাড়িতে একাই ছিল। তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যায় তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে, ছেলে দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। 

Nadia: কেবল একটাই ইয়ার্কি মেরেছিল, হাত-পা বেঁধে পিঁপড়ের চাকে ফেলে রাখল পাঁচ বছরের শিশুকে! কেন?
আক্রান্ত শিশু
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নদিয়া: বেশ অনেকক্ষণ ধরে নিখোঁজ ছিল বছর পাঁচেকের শিশু। পরিবারের তরফ থেকে গ্রামের ইতিউতি খোঁজ শুরু হয়। তারপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পিঁপড়ের চাক থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুকে। সারা শরীরের পিঁপড়ের কামড়ে ততক্ষণে দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে তার। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেব ডাঙা গ্রামে। এর নেপথ্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ।

ওই শিশুর বক্তব্য অনুযায়ী,  প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে ইয়ার্কি মারার জন্যই তাকে এইভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ইসমাইল ধাবক নামে স্থানীয় এক যুবক তার সঙ্গে এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত এলাকায় দাপুটে বলেই পরিচিত। আক্রান্ত শিশুর মা যখন থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন, তখনও হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে ওই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে সে বাড়িতে একাই ছিল। তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যায় তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে, ছেলেকে দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।  তাঁদের দাবি,  গ্রামের এক পাশে একটি পিঁপড়ের চাকের উপর হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল ছেলে।

আক্রান্ত বাচ্চার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রতিবেশী ইসমাইল ধাবকের সঙ্গে ইয়ার্কি মেরেছিল সে। তা নিয়েই বচসা। আর তাকে ‘শাস্তি’ দিতে হাত-পা বেঁধে পিঁপড়ের চাকে ফেলে রেখেছিল সে। ইসমাইলের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিলেন বলে ওই শিশুর দাবি। শিশুর আরও বক্তব্য, তার সঙ্গে যখন এই নির্মম অত্যাচার চলছিল, তখন গ্রামের আরও বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে দেখছিলেন সে দৃশ্য। বাড়িতে যাতে মুখ না খোলে, তার জন্য বাচ্চাটিকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বাচ্চার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুর পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ইসমাইল এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। এখনও অভিযুক্ত অধরা। শান্তিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।

Next Article