নদিয়া: সাত সকালে দোকান খুলতে গিয়ে দোকানির মাথায় হাত। শাটারের পাশে চুনকাম করা দেওয়াল। তাতে লেখা ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে রক্তগঙ্গা বইবে।’ লেখা রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নামও। পর পর বেশ কয়েকটি দোকানের সামনেই হুমকি বার্তা। রবিবার এই ঘটনা ঘিরে শান্তিপুরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। একুশের বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলায় চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কারও দাবি, বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে হালে পানি পেতে চাইছে। কারও অভিযোগ, এগুলি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের।
শান্তিপুরের শহর তৃণমূল নেতা মনোজ সরকার। তাঁর নামেই এই দেওয়াল লিখন হয়েছে। অথচ মনোজের দাবি তিনি এর বিন্দু বিসর্গ জানেন না। তাঁর বিরুদ্ধে কারও কারও ব্যক্তিগত ক্ষোভ রয়েছে। সেই রাগ মেটাতেই তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি মনোজের। এর আগেও একাধিকবার খুনের রাজনীতি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে শান্তিপুরে। চলতি বছরের শুরুতেই এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। তাতে দলেরই এক নেতার নাম জড়ায়। দলীয় কোন্দলের জেরেই খুন বলে অভিযোগ তুলেছিল মৃতের পরিবার। মনোজের দাবি, এ ধরনের দেওয়াল লিখন করে তাঁর নাম খারাপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীত হয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষকে বহিরাগত বলা সংবিধান বিরোধী, ‘ভদ্রভাবে’ সতর্ক করলেন রাজ্যপাল
এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র বলেন, “আমি ফেসবুক থেকে জানতে পেরেছি। এ ধরনের কাজ যারাই করেছে অন্যায়। সংসদীয় গণতন্ত্রে এগুলি মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনকে বলব তদন্ত করতে।”