নদিয়া: একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ-আগুন! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই? প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন। এই অবস্থায় নড়েচড়ে বসল রাজ্য পুলিশ। দীর্ঘ তল্লাশিতে প্রায় আড়াই কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশের তরফে একটি অভিযান চালানো হয়। আর তাতেই বিপুল পরিমাণ এই বাজি উদ্ধার করা হয়েছে।
দেরিতে হলেও পুলিশের এহেন ভূমিকায় স্বস্তি সাধারণ মানুষের। উল্লেখ্য, এগরা বিস্ফোরণের পরেই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নিষিদ্ধ বাজি কারখানা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালানোর কথাও বলা হয়েছিল নবান্নের নির্দেশিকায়। আর এরপরেই বিভিন্ন জায়গাতে নিষিদ্ধ বাজি তৈরি এবং বিক্রি রুখতে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর মধ্যেও রবিবার রাতে বজবজের একটি বাড়িতে জমিয়ে রাখা নিষিদ্ধ বাজি ফেটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসন।
এরই মধ্যে সোমবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার কৃষ্ণনগর কালিনগর এলাকার সাহা স্টোর নামে একটি গুদামে হানা দেয় পুলিশ। আর সেখান থেকেই আনুমানিক ২৫ টি বাজি ভরতি পেটি উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যার ওজন আনুমানিক ২৫০ কেজি বলে মনে করা হচ্ছে। সবটাই নিষিদ্ধ বাজি বলে জানা গিয়েছে। ওই গুদামটি স্থানীয় উত্তম কুমার সাহার বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধারের পরেই সেগুলিতে জল ঢেলে নিষ্ক্রিয় করার কাজ করে পুলিশ। তবে বিপুল পরিমাণ এই নিষিদ্ধ বাজি থেকে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। ঘটনার পর অভিযুক্ত উত্তম সাহার খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া সে। যদিও উত্তমের খোঁজে বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গত কয়েকদিন আগেই প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরা। যেখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বজবজের ঘটনাতেও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নতুন করে এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণনগর কালিনগর এলাকায় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ এই বাজি উদ্ধার বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ বাজি রুখতে অভিযান চলবে বলেই জানাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।