তেহট্ট: সংশোধনাগারে (Jail) বন্দি অবস্থায় নিজে গান লিখে ও সুর দিয়ে গান পরিবেশন করে রবীন্দ্রজয়ন্তী (Rabindra Jayanti) পালনের মধ্য দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করলেন এক বন্দি। তেহট্ট (Tehatta) মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি দফতর এবং তেহট্ট উপ-সংশোধনাগারের যৌথ উদ্যোগে সংশোধনাগারের আবাসিক এবং এলাকার কিছু শিশু শিল্পীদের নিয়ে সংশোধনাগারের ভিতরে কমিউনিটি হলে মঙ্গলবার বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ১৬৩ তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হল। জানা গিয়েছে, এই সংশোধনাগারে মহিলা, পুরুষ নিলে মোট ২১৩ জন আবাসিক রয়েছেন। এর মধ্যে মহিলা ৭ জন। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক মৌমিতা সাহা, তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং সংশোধনাগারের আবাসিক এবং অন্য আধিকারিকরা।
আবাসিকদের মধ্যে থেকে এদিন সঙ্গীত পরিবেশন করেন গোপাল বিশ্বাস। কিন্তু, গান শুরুর আগে নিজের সম্পর্কে কিছু কথা বলেন তিনি। তাতেই তিনি জানান তিনি নিজেই একটি গান লিখেছেন, সেটিই তিনি গাইতে চলেছেন। এই গানের সুর তাঁর নিজেরই দেওয়া। তাঁর তৈরি এই গান শুনেই কার্যত বাকিদের বাহবা কুড়িয়ে নেন গোপালবাবু। অনেককেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়। অন্য শিল্পীরাও এদিন সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন।
সংশোধনাগার ছাড়াও এদিন জেলার স্কুলে স্কুলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালিত হল। তবে তীব্র দাবদাহের কারণে বেশিরভাগ স্কুলই ছিল ফাঁকা। তবুও তারমধ্যেই রবি ঠাকুরের ছবিতে মালা দিয়ে সারা হয় অনুষ্ঠান। তা নিয়ে খানিক মন খারাপ অভিভাবকদের। অভিভাবক শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, “আশির দশকের দিকে দেখা যেত পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে গ্রামগঞ্জের অলিতে গলিতে পালিত হত রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। এই জন্মদিন উপলক্ষে এলাকার ছাত্র-ছাত্রী সহ গ্রামের মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কুলে টিফিনের সময়ে কবির লেখা নাটকের মহড়া চলত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাড়ার গলিতে, স্কুলে, ক্লাব সহ বিভিন্ন স্থানে অভিনীত হত রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক, কোথাও পরিবেশিত হত রবীন্দ্রসঙ্গীত, আবার কোথাও হত রবীন্দ্রনৃত্য। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ডিজের দাপটে চাপা পড়ে গিয়েছেন রবীন্দ্র-নজরুল।”