নদিয়া: ছেলেটার বয়স তিরিশ। ফলে বিয়ের জন্য চাপ আসছিল। পাড়া প্রতিবেশী থেকে পরিবার সকলেই বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। চলেছিল পাত্রী দেখাশোনা। কিন্তু মিলছিল না পাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা ঘটনায় মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েন যুবক। তারপরই মর্মান্তিক পরিণতি। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
মৃতের নাম শঙ্কর পাল (৩০)। বাড়ি শান্তিপুর হরিপুর পালপাড়ায়। এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, ওই যুবক মৃৎশিল্পীর কাজ করতেন। সারাদিনে পরিশ্রম করে হাতে বেতন পেতেন মোটে ৪০০ টাকা। তাই দিয়ে কোনও রকমে সংসার চলাতেন যুবক। প্রতিবেশীদের দাবি, সুশ্রী না হওয়ায় বিয়ের জন্য একাধিকবার দেখাশোনা হয়। তবে কোনও মেয়েই ওই যুবককে পছন্দ করতে না। তাই বারেবার সম্বন্ধ ফিরে চলে যেত। একাধিকবার এই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিল যুবক।
এরপর মঙ্গলবার সকালে পরিবার লক্ষ্য করেন ঘরের ভিতরেই ওই যুবক ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন। সঙ্গে-সঙ্গ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। স্বভাবতই মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে যুবকের পরিবার, এছাড়াও শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। অন্যদিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ এ ছাড়াও ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ওকে দেখতে ভাল ছিল। চেহারায় কমজোরি ছিল। আমাদের মনে হয় বিয়ের জন্য একের পর এক পাত্রী ফিরে যাওয়ায় সুইসাইড করেছে।”