নদিয়া: বাম, বিজেপি, কংগ্রেস হাতে হাত মিলিয়ে সমবায় সমিতিতে জয় এনেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় পড়ে কিশোরপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড। রবিবার সেখানে ৪৯টি আসনে নির্বাচন ছিল। অভিযোগ, বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি মিলে সব আসনে প্রার্থী দেয়। কিন্তু তৃণমূল সবক’টিতে প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে এখানে এবার নয়া ‘জোট’ বোর্ড গড়তে চলেছে। প্রশ্ন উঠছে, সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্রের কৃষ্ণনগরে কি নতুন কোনও সমীকরণ মাথাচাড়া দিচ্ছে?
বিজেপি সমর্থিত সদস্য বিদ্যান মণ্ডল বলেন, “৪৯টি আসনে ভোট হয়েছে। আমরা ৩৭টা পেয়েছি। সিপিএম কংগ্রেস জোট হয়েছে। আমি বিজেপির সদস্য। আমি ৭৬টা ভোট পেয়েছি। খুবই ভাল লাগছে। সমিতি থেকে মানুষকে যতটা সুবিধা দেওয়া যায়, তা আমরা দেব।” জানা গিয়েছে, ৪৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২টি আসনে প্রার্থীও দিতে পারেনি।
কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত করিমপুর-২ ব্লকের নন্দনপুর গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানেই এই কিশোরপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড। কৃষ্ণনগরের সাংসদ পদ হারাতে হলেও এখন মহুয়া এই এলাকার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। সেখানে এই নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের কথা শোনা যাচ্ছে।
এই সমবায় সমিতিতে মোট ১২১৯ জন ভোটার। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবার ভোট হল এখানে। এতদিন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ হত পরিচালনমণ্ডলীর আলোচনার ভিত্তিতে। সেখানে এবার এমন বদল চর্চার কেন্দ্রবিন্দু।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা শান্তিকুমার মণ্ডল বলেন, “আমরা লড়াই করেছি। ১২টায় জিতেছি। আমাদের সমবায় সমিতিতে ৪৯টা সিট। আমরা বুঝতেই পারিনি তলায় তলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি আঁতাত করেছে।” সূত্রের খবর, ৬৮ শতাংশ ভোট ‘জোট’-এর দখলে গিয়েছে। শাসকদলের পক্ষে গিয়েছে ৩২ শতাংশ।
সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস বলেন, “সমবায় নির্বাচনের সঙ্গে সাধারণ নির্বাচনের পার্থক্য আছে। সাধারণ মানুষ মনে করেছেন তৃণমূলকে হারাতে জোটবদ্ধ হতে হবে। সেটাই হয়েছে। সমবায়ের ভোট তো কোনও দলীয় প্রতীকে হয় না। রাজনৈতিকভাবে আমরা কখনওই বিজেপির সঙ্গে কোথাওই নির্বাচনী সমঝোতায় যাব না।”