Nadia : অভাবেই চরম সিদ্ধান্ত, অবৈধভাবে সদ্যজাত শিশু হস্তান্তরের অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 19, 2023 | 10:57 PM

Nadia : সূত্রের খবর, হাসখালি বাসিন্দা, রঘুনাথ সরকার এবং রানাঘাট তারাপুরের বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের আলাপ হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। রাজস্থানে সোনার কাজ করার সূত্রপাতেই সেই আলাপ।

Nadia : অভাবেই চরম সিদ্ধান্ত, অবৈধভাবে সদ্যজাত শিশু হস্তান্তরের অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে

Follow Us

নদিয়া : অবৈধভাবে সদ্যজাত শিশু হস্তান্তরের অভিযোগ উঠল দম্পতির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার অন্তর্গত তারাপুরে। চাইল্ড লাইন (Child Line) সূত্রে খবর, নদিয়ার হাঁসখালি এলাকার বাসিন্দা রঘুনাথ সরকারের স্ত্রী গত ১৪ জানুয়ারি নিজের বাড়িতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সেই সন্তানকে আর্থিক অভাবের কারণে রানাঘাটের (Ranaghat) তারাপুর নিবাসী তাপস বিশ্বাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, হাসখালি বাসিন্দা, রঘুনাথ সরকার এবং রানাঘাট তারাপুরের বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের আলাপ হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। রাজস্থানে সোনার কাজ করার সূত্রপাতেই সেই আলাপ। 

সূত্রের খবর, রাজস্থানে থেকে বেশ কয়েক বছর আগে তাঁরা চলে আসেন নিজেদের বাড়িতে। সেখানেই নতুন করে বেছে নেন নতুন উপার্জনের পথ। রঘুনাথ সরকার বর্তমানে একটি চায়ের দোকান চালান। রানাঘাটের তারাপুর নিবাসী তাপস বিশ্বাস বর্তমানে বাড়িতেই সোনা রুপোর কাজ করেন। এদিকে অভাব রয়েছে রঘুনাথের বাড়িতে। চায়ের দোকান থেকে যেটুকু উপার্জন হয় তা থেকেই কোনও মতে চলে দিন। তাঁর পরিবারে চতুর্থ সন্তান হওয়ার পরেই আর্থিক অভাবের কারণে রঘুনাথ সরকার যোগাযোগ করেন তাপস বিশ্বাসের সঙ্গে। এদিকে ঘরে কোনও সন্তান নেই তাপসের। এই তাপসের হাতেই ৭ দিনের সদ্যোজাত ওই কন্যা সন্তানকে অবৈধভাবে তুলে দেন রঘুনাথ। সম্প্রতি সেই সদ্যজাতকে বাড়িতেও আনেন তাপস বিশ্বাস। তা দেখেই সন্দেহ হয় পাড়া-প্রতিবেশীদের। আচমকা কোথা থেকে ঘরে এল সদ্যজাত? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তরও পাওয়া যায়নি তাপসের থেকে। 

খবর দেওয়া হয় চাইল্ড লাইনের আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, এরপর চাইল্ড লাইনের আধিকারিকেরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যান ওই বাড়িতে। উদ্ধার করা হয় সদ্যোজাত শিশুটিকে। হোমে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে চাইল্ড লাইনের কর্মী সোলেমন শেখ বলেন, “আমাদের কাছে এই সংক্রান্ত খবর আগেই ছিল। বাচ্চাটিকে সরকারিভাবে দত্তক নেওয়া হয়নি বলে আমরা জানতে পারি। পরবর্তীতে আমরা রানাঘাট থানায় ঘটনার কথা জানাই। যাঁদের কাছে বাচ্চাটি ছিল, যাঁরা বাচ্চাটির বাবা-মা বলে দাবি করেছিলেন তাঁদের কাছে কোনও বৈধ আইনি কাগজও ছিল না। শেষে পুলিশের সহযোগিতাতেই বাচ্চাটিকে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়। তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারিনি। যতদূর জানতে পেরেছি আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণেই তাঁদের হাতে বাচ্চাটিকে তুলে দিয়েছিলেন আর এক দম্পতি।” যাঁর কাছে বাচ্চচাটি ছিল সেই তাপস বিশ্বাস বলেন, “রঘুনাথ আমাদের পরিচিত। ওদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। আমাকে বলে আমি তো মানুষ করতে পারব না। আপনি রেখে দিন। তিন চারদিন আগে এটা বলে আমাকে। তারপরই আমি বাচ্চাটিকে নিই। তবে কোনও টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।”

Next Article