নদিয়া: ভারতের অবদান ভুলে ভারতকেই চোখ রাঙানি! কলকাতাকে কব্জা করার ডাক দিয়েছে বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টি। ভারতের ভূখণ্ডে ভাগ বসানোর হুমকিও দিয়েছেন দলের নেতারা। সেভেন সিস্টার্স কেড়ে নেওয়ার সস্তা বুলিও শোনা গিয়েছে ঢাকার কট্টরবাদীদের মুখে। প্রয়োজনে ভারতের মানচিত্র বদলে দেওয়ার মতো কথা শোনা গিয়েছে তাঁদের মুখে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে কিছুতেই যেন থামছে না সংখ্যালঘু নিপীড়ন। যা দেখে অনেকেই বলছেন, সাম্প্রদায়িক কট্টরবাদীদের খোলা মাঠ ছেড়ে দিয়েছে ঢাকার প্রশাসন। তাতেও আরও বেড়েছে দাপাদাপি। এমতাবস্থায় চিন্তা বেড়েছে এপার বাংলাতেও। অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তপারে থাকা এপার বাংলার মানুষদের।
এদিকে সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। চলছে কড়া নজরদারি। কিন্তু, তা এড়িয়েও যে এপারে অনুপ্রবেশকারীরা চলে আসছেন না এমনটা নয়। সম্প্রতি, বেশ কয়েকজন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতারও করে নদিয়ার সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ ও ধানতলা থানা। তাঁরা আবার প্রত্যেকেই বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু বলে জানা গিয়েছে। এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কেউ কেউ। বিগতদিনে করিমপুরের সীমান্ত দিয়ে এই দেশে প্রবেশ করে নাশকতা চালিয়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। তেমন কিছু হবে না তো? ভয়ে কাঁটা এলাকার লোকজন।
এদিকে পদ্মাপাড়ে গণতন্ত্র কার্যত অন্ধকারে দিশেহারা। ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন কট্টরপন্থীরা। তাহলে পরিকল্পনা করে বেআইনি অনুপ্রবেশের মধ্য দিয়ে জামাতি বা জঙ্গিরা ঢুকে পড়ছে না তো বাংলায়? এই আতঙ্কেই রাতের ঘুম চলে গেছে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের। এ আবহে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলছেন, “বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করছে। আতঙ্ক তো এপার বাংলাতেও বেড়েছে। আমাদের বাংলাতেও যে ভাবে বেশ কয়েকটি ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে চিন্তার। ফের যদি বাংলায় খাগড়াগড়ের মতো ঘটনা ঘটে তাহলে কিন্তু বাংলার এই সরকারই দায়ী থাকবে।”