নদিয়া: কড়া প্রহরার মধ্যে দিয়ে রবিবার সম্পন্ন হয়েছে এ বছরের টেট। যে কোনও রকমের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে যথেষ্ঠ তৎপর ছিল প্রশাসন। কিন্তু এত কড়া প্রহরার মধ্যেও মোবাইল নিয়ে ঢুকে গিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। যদিও, শেষ রক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হলেন দু’জন।
ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সন্দীপ কুটি ও অপরজন হলেন দেবাশীস মৃধা। দু’জনের বাড়ি নদিয়ার ধানতলা থানার বহিরগাছি এলাকায়। তাঁদের সিট পড়েছিল কৃষ্ণনগর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়। দুই বন্ধুই পরীক্ষা দিতে ঢুকেছিল। তবে এক বন্ধুকে সাহায্য করবে বলেই অন্যজন ঢুকেছিল বলে অভিযুক্ত দুজনই জানিয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। স্কুলের শিক্ষাকর্মীরা মোবাইলসহ তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আজ ধৃতদের কোতোয়ালি থানার পুলিশ আদালতে তোলে।
দেবাশীস বলেছেন, “আমার কাছে মোবাইল ছিল না। বন্ধুর কাছে ছিল।” সন্দীপ কুটি বলেছেন, “আমি সাহায্য করতে গিয়েছিলাম ওকে। তাই মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলাম। শিক্ষকরা দেখতে পেয়ে যান।” প্রসঙ্গত, গতকাল টেটে প্রায় তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী বসেছিলেন। পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয় কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল প্রশাসনের কাছে। কিন্তু এত সবের পরও প্রশ্ন ফাঁস হয় গতকাল। জানা যায়, বেলা বারোটায় পরীক্ষার্থীরা হলে ঢোকার পর একটা নাগাদ ভাইরাল হয় এক প্রশ্নপত্র। যদিও, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল তাকে ‘লিক’ বলতে নারাজ।