শান্তিপুর: পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা। আর সেই বচসা থেকেই বোমাবাজি। আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশকর্মীও। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরে (Clash in Shantipur)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তাজা বোমা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংরিডাঙা মেদিয়াপাড়া এলাকার টাইম কলের জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু মহিলাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমে সেই বচসা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। পরে পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছয়। এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে ইট-বৃষ্টি, বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলে যান রানাঘাট মহকুমার এসডিপিও। বোমাবাজি এবং ইঁট বৃষ্টিতে একজন পুলিশকর্মী জখম হন। দুই পক্ষের সংঘর্ষ সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে রবার বুলেটও চালায় পুলিশ। ঘটনায় একাধিক বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনার পর থেকেই কার্যত থমথমে পরিবেশ এলাকায়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অন্তত ১০ টি বোমা উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ঘটনায় জড়িতরা সকলেই তৃণমূলের সমর্থক। ঘটনার জেরে এখনও উত্তপ্ত গোটা এলাকা। এলাকাবাসীদের বক্তব্য স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা আবু হোসেন মণ্ডল এবং আনোয়ার হোসেন লোকেদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে। যদিও ওই দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি বিষয়টি নিয়ে। শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী টহল দিচ্ছে এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকায়। ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, সেই সবের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।