Suicide: পরীক্ষার দিনে পড়তে বসতে অনীহা, মা বকতেই চরম সিদ্ধান্ত নবম শ্রেণির ছাত্রের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 01, 2022 | 8:18 PM

Suicide: সম্প্রতি পড়াশোনায় বেশ খানিকটা অমনোযোগী হয়েছিল সুজয়। যা নিয়ে পরিবারে মাঝেমধ্যে অশান্তিও হত বলে খবর।

Suicide: পরীক্ষার দিনে পড়তে বসতে অনীহা, মা বকতেই চরম সিদ্ধান্ত নবম শ্রেণির ছাত্রের
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নদিয়া: আসক্তি ছিল মোবাইল গেমে (Mobile Game)। পড়াশোনা ছেড়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকত মোবাইল নিয়ে। মা-বাবা বকুনি দিতেই গত মাসের শুরুতে গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হতে দেখা গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুরের বাসিন্দা সুমি খাতুন (১৮)। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল নদিয়ায়। মায়ের বকুনির জেরে আত্মঘাতী নবম শ্রেণির এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজন ঘাটে। মৃত ছাত্রের নাম সুজয় হালদার। সুজয় ভাজনঘাট হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত বলে জানা গিয়েছে। 

পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি পড়াশোনায় বেশ খানিকটা অমনোযোগী হয়েছিল সুজয়। যা নিয়ে পরিবারে মাঝেমধ্যে অশান্তিও হত। এদিন পড়তে না বসায় মায়ের কাছে বকুনি খায় সুজয়। তারপরই অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় বলে খবর। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সুজয়ের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু, সকাল থেকে পড়তে না বসায় তার মা তাকে বকুনি দেন। এরপরই অভিমানে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় নবম শ্রেণির ছাত্র। খবর যায় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। সুজয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য ওই ছাত্রের দেব শক্তিনগর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সুজয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। মা-বাবার কাছে বকা খেয়েই গলায় দড়ি দিয়েছে। পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মা বকতেই সুজয় এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ হালদার বলেন, “বাড়িতে পড়াশোনা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। তখনই বাবা-মার কাছে বকা খায় সুজয়। ভাই-বোনের মধ্যেও ঝামেলা হয়। তবে তারপর সব ঠিকঠাক ছিল। রাতে বাড়িতে ঠিকঠাকভাবে খাওয়া-দাওয়া করেছিল। ভোর রাতে দেখা যায় এ ঘটনা ঘটেছে।” মাস খানেক আগে কালীপুজোর সময় বাবা-মা বাজি কিনে দিতে না চাওয়ায় কোচবিহারের তুফানগঞ্জের নাককাটিগাছ গ্রামে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া। তবে সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় সে।

Next Article