AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Meenakshi Mukherjee: ‘লাশ কিনতে চলে গেলে তামান্নার বাড়িতে! কেন অ্যারেস্ট হবে না হুমায়ুন?’ গর্জে উঠলেন মীনাক্ষী

Meenakshi Mukherjee: কয়েকদিন আগেই কালীগঞ্জে বাড়িতে গিয়েছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তামান্নার মা সাবিনা বিবির সঙ্গে কথা বলার মাঝেই আর্থিক সাহায্যের কথা বলেন। এগিয়ে দেন সাদা খাম। আর তা দেখেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবিনা বিবি।

Meenakshi Mukherjee: ‘লাশ কিনতে চলে গেলে তামান্নার বাড়িতে! কেন অ্যারেস্ট হবে না হুমায়ুন?’ গর্জে উঠলেন মীনাক্ষী
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2025 | 5:22 PM
Share

পলাশি: “টাকা দিয়ে সব লাশ কেনা যায় না! কেন অ্য়ারেস্ট হবে না হুমায়ুন কবীর?” নদিয়ার সভা থেকে গর্জে উঠলেন বাম যুবনেত্রী তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবারই কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে মৃত নাবালিকা তামান্না খাতুনের বাড়িতে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ বাম ব্রিগেডের একঝাঁক প্রথমসারির নেতা। সঙ্গে ছিলেন মীনাক্ষী। দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। তারপরই যোগ দেন পলাশির সভায়। সেখানেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ দাগতে থাকেন। 

কয়েকদিন আগেই কালীগঞ্জে বাড়িতে গিয়েছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তামান্নার মা সাবিনা বিবির সঙ্গে কথা বলার মাঝেই আর্থিক সাহায্যের কথা বলেন। এগিয়ে দেন সাদা খাম। আর তা দেখেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবিনা বিবি। মুহূর্তেই তা প্রত্যাখ্যান। তারপর হুমায়ুন বেরিয়ে এলেও জল ততক্ষণ মাথার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। বিতর্কের মধ্যেই হুমায়ুনকে শোকজও করে তৃণমূল। 

‘পয়সা দিয়ে সব লাশ কেনা যায় না’ 

সেই হুমায়ুনের বিরুদ্ধেই পলাশির সভা থেকে গর্জে উঠলেন মীনাক্ষী। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “আজ তামান্নার মা সবার মা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা রাজ্যের মা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ তামান্নার মা বলেছে পয়সা দিয়ে সব লাশ কেনা যায় না। তুমি বগটুইতে চলে গেলে লাশ কিনতে! তুমি আনিসের বাড়ি চলে গেলে লাশ কিনতে! ডেড বডি কিনতে তুমি চলে গেলে তামান্নার বাড়িতে। কেন অ্যারেস্ট হবে না হুমায়ুন কবীর? কেন রাস্তায় দাঁড় করিয়ে জুতোপেটা করা হবে না? কোন অধিকারী খামে করে একটা সন্তানহারা মাকে টাকা-পয়সা দিতে যাবে? এ কোন রাজনীতি এরা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে নামাতে চাইছে? এ রাজনীতির প্রতি ঘৃণা থাকবে না? একরাশ ক্ষোভ থাকবে না?”  

অন্যদিকে শুরুতে তামান্নর মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করলেও আজ অবধি তাঁর বাড়িতে যেতে দেখা যায়নি কালীগঞ্জের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক আলিফা আহমেদকে। তাঁকেও একহাত নিতে দেখা যায় মীনাক্ষীকে। আলিফার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “কোথায় গেল এখানকার বিধায়ক? তুমি বিধায়ক হও, যে রাজনীতিই করো না কেন, তার আগে তুমি একটা মেয়ে! কেন তোমার সৎ সাহস হচ্ছে না তামান্নার মায়ের সামনে দাঁড়াতে?” এরপরই আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “তোমার অন্তরআত্মা তোমাকে বাধা দিচ্ছে। চ্যালেঞ্জ করে বলেছি তুমি মোলান্দি গ্রামে পা দিতে পারবে না!”