Nadia: ২৫০ বিঘা গ্রাস করেও থেমে নেই ভাগীরথী! বসতভিটে ভাসার আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 28, 2021 | 3:34 PM

Bhagirathi River Bank Erosion: বাকি রয়েছে আর পাঁচটি এলাকা। তাও আবার চলে যেতে পারে যখন তখন। কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে মানুষের কাজ নেই, সেখানে জমিজমা চলে যাওয়া চিন্তায় পড়েছেন এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা।

Nadia: ২৫০ বিঘা গ্রাস করেও থেমে নেই ভাগীরথী! বসতভিটে ভাসার আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর
ক্রমেই এগিয়ে আসছে নদী। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

নদিয়া: দুয়ারে আবার একটা দুর্যোগ। ফের নিম্নচাপের পূর্বাভাসে আশঙ্কার প্রহর গুনছেন নদিয়ার চাকদা থানার চাঁদুরিয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন সান্যাল চর এলাকার বাসিন্দারা। গত কয়েকদিন ধরেই ভাগীরথীর (Bhagirathi) পাড় ভাঙ্গার শব্দে ঘুম নেই বাসিন্দাদের। নদীর গ্রাসে গিয়েছে প্রায় আড়াইশো বিঘা জমি। বর্ষা নয়, এমনিতেই ভেঙে যাচ্ছে নদীর পাড়।

গত তিন দশক ধরে এভাবেই ভেঙে চলেছে ভাগীরথী নদীর পাড়। গত তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ভেঙে গিয়েছে ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়ি। ২০০ থেকে ২৫০ বিঘা জমি ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে ভাগীরথীর করাল গ্রাসে। চাঁদুরিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ১৩ টি এলাকা ছিল। বর্তমানে পাঁচটি অবশিষ্ট রয়েছে। বাবুপাড়া, সাহাপাড়া, মালোপাড়া, উত্তরপাড়া, ঘোষপাড়া, মধ্যপাড়া সহ আরও কিছু এলাকার নাম স্রেফ মুছে দিয়েছে ভাগীরথী। এলাকাগুলি নদিয়ার মানচিত্র থেকে উধাও করে দিয়েছে নদী ভাঙন।

বাকি রয়েছে পাঁচটি এলাকা। তাও আবার চলে যেতে পারে যখন তখন। কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে মানুষের কাজ নেই, সেখানে জমিজমা চলে যাওয়া চিন্তায় পড়েছেন এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ত্রিপল আর সামান্য কিছু মালপত্র দিয়ে ঠেকানো গেলেও, সকলের দাবি এর পাকাপাকি একটা সমাধান হোক।

সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের অধীনে ১০ হাজার ভোটার ছিল। এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারে। বাসিন্দাদের দাবি, ভোটের মুখে সকলে কথা দিলেও ভোট মিটে গেলে আর কেউ আসেন না। মাত্র এক মাস আগেই প্রাইমারি স্কুল তলিয়ে গিয়েঠছে। স্কুলবাড়ির মস্ত একটা দালান চোখের সামনে তলিয়ে যেতে দেখেছেন সবাই। এবার সেই একই আশঙ্কা বাসিন্দাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। ঘর হারানোর ভয়ে চোখে ঘুম নেই বাসিন্দাদের। কারও কারও সামর্থ্য আছে, তাই বাড়িঘর নিয়ে অন্যত্র সরে গিয়েছেন। কিন্তু হতদরিদ্র মানুষরা আজ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন জমিজমা হারিয়ে। তার পর চলে যাচ্ছে বাড়িটাও!

বসত ভিটে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা গ্রাস করেছে বাসিন্দাদের। অভিযোগ, বছরের বছর ভাঙছে নদীর বাঁধ। একের পর এক এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা কেবল ত্রিপল আর সামান্য কিছু সাহায্য দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। কিন্তু এবার সরকারের পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে এই গ্রামবাসীরা।

রতন বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দার কথায়, “প্রতি বছরই গঙ্গা ভাঙে। আমার জন্মের পর থেকেই দেখছি ভাঙতে ভাঙতে আসছে গ্রামের দিকে। কয়েক দিন আগে একটা প্রাইমারি স্কুল তলিয়ে গিয়েছে। ডানদিকে একটা বিশাল কলাবাগান নদীর তলায়। পরিস্থিতি খুব খারাপ! এ বছরই আড়াইশো বিঘা জমি চলে গিয়েছে নদীর তলায়।” এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে তাঁদের আর্জি, একটা কংক্রিটের বাঁধ করে এই যন্ত্রণা থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: Corruption: গাড়ির বোনেটে ফিল্মি কায়দায় বসে পুলিশ অফিসার, রিকশা চালকদের থেকে চলছে তোলা আদায়!

Next Article