Mamata Banerjee: ‘টাকা কি হাতের মোয়া? চাইল পেয়ে গেল?’, PWD-র কাজ নিয়ে অসন্তোষ মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee: আজ নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
Follow Us
নদিয়ায় তিনদিন সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার কৃষ্ণনগরে কর্মী সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সিএএ-মতুয়া সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। এরপর আজ নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘কমিউন্যাল পকেট এখন থেকে দেখে রাখুন। কেউ-কেউ প্ল্যান করেছে ডিসেম্বর থেকে ধামাকা মানে ধর্মীয় যুদ্ধ বা কমিউন্যাল যুদ্ধ লাগাবে। কর্নাটকে শুরু হয়ে গেছে। তবে এটা বাঁচার পথে নয়। চৈতন্যদেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি এটা শান্তির পথ।’
মমতা বলেন, ‘বাংলার কত রকমের শাড়ি পাওয়া যায়? যারা শাড়ি তৈরি করে তাদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাব বানায়। মহুয়াকে আনতে পারও। ওই ক্লাবে সাধারণ মানুষের পরার শাড়ি থাকবে। প্রতিটা বড় মেলায় স্টল বসবে বাংলার শাড়ির। জেলায়-জেলায় এই উদ্যোগ নাও।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল ড্রেস তৈরি, লেদার ইন্ড্রাস্টি করেছি। উত্তর প্রদেশ থেকে সব লোক চলে এসে। পাঁচ লক্ষ লোকের কর্ম সংস্থান হচ্ছে। এই যে বীরভূমে দেউচা পচামি হচ্ছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা খনি হচ্ছে। ১২ হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট হচ্ছে। ওখানে কয়েক লক্ষ লোকের চাকরি হবে। ডায়রেক্ট-ইনডায়রেক্ট চাকরি হবে। তাজপুর পোর্ট হচ্ছে। আইটি তৈরি হয়েছে।’
নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বলেন,’বিহার থেকে এক হাজার টাকায় অস্ত্র চলে আছে। বিডিয়ো থেকে আইসি, ক্লার্ক সবাই আমরা পরিবারের সদস্য। ইধার-উধার অস্ত্র চলে আসেছে। উত্তর বঙ্গকে ছিন্নভিন্ন করতে অস্ত্র চলে আসছে বর্ডার থেকে। আমরা সবাই পরিবার।’
মমতা বলেন, ‘আমি তখন কংগ্রেস করতাম। আমার পাশের বাড়ি কংগ্রেস করত। বাকিরা সিপিএম। আর এখন দেখুন…ভালোবেসে কাজ করুন। নিজের নিরাপত্তা রেখে দিয়ে এলাকা ঘুরুন।’
রানাঘাট ব্লক-১ বিডিয়োকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাঝে-মধ্যে সাইকেলে-রিক্সা করে ঘুরুন। ভালো লাগবে আপনার। সঙ্গে আইসিও থাকবেন।’ একই সঙ্গে বলেন, ‘আইসিডিএস, আশাকর্মীদের কাজ কেমন হচ্ছে। আর ভোটার লিস্ট ঠিক মতো হচ্ছে কি না দেখুন। এটা খুব সিরিয়াস কাজ। আপনারা তদারকি করুন।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন শীতকাল। অনেক মেলা হবে। একটা মেলা কেন্দ্র করে অনেক মানুষ জীবিকা নির্ধারণ করেন। সেল্ফ হেলফ গ্রুপের মেয়েরা সাবলম্বী হন। মেলায় শিল্পীরা রোজগারের সুবিধা পান।’
নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ থেকে ভোটার লিস্টে নাম তোলা শুরু হয়েছে। ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে দূরে থাকবেন। কারোর নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেবেন না।’ ডিএম-এসপি-দের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘বর্ডার এলাকার মানুষদের দেখবেন। বিএসএফ দ্বারা কেউ যেন অত্যাচারিত না হয়।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নবদ্বীপে ঢেলে কাজ হয়েছে। অনেক ঐতিহ্যবাহী কাজ হয়েছে। মসলিন তীর্থ থেকে তাঁত, মাটির কাজ, সরপুরিয়া সব কিছুতেই সরকার নজর দিচ্ছি। বাকি রইল রাজনীতি।’
এ দিন সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। pwd-র উপর তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কৃষ্ণনগরে ১০০ বছরের পুরনো সার্কিট হাউস ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় ওদের ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে খরচা করার জন্য। ভবন তৈরির পর দেখা গেল উপরটা ভেঙে পড়েছে। এখন বলছে আরও ৭১ লক্ষ টাকা চাই। টাকা যেন হাতের মোয়া। চাইল পেয়ে গেল। মেঘ-দে, পানি-দে-র মতো টাকা দে, যারা এই কাজ করছে তাদেরকেই ঠিক করতে হবে। সার্কিট হাউস সরকারের মুখ। তাই যারা pwd-র এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’