AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: আটকে পড়ছে সবজির গাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, বর্ধমান-হুগলি থেকে বীরভূম-বাঁকুড়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নদিয়ার

Bridge Closed: নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর একাধিক গাড়ি শান্তিপুরের কালনাঘাট এবং গুপ্তিপাড়া ঘাট দিয়ে পারাপার করত। আপাতত ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যদি শান্তিপুরে ভাগীরথী নদীর উপর কালনা ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়, তাহলে এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ।

Nadia: আটকে পড়ছে সবজির গাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, বর্ধমান-হুগলি থেকে বীরভূম-বাঁকুড়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নদিয়ার
আটকে আছে গাড়িImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2025 | 12:44 PM
Share

নদিয়া: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ গুরুত্বপূর্ণ গৌরাঙ্গ সেতু। কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে নদিয়ার কল্যাণীর ঈশ্বর গুপ্ত সেতু। ফলে সড়কপথে নদিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ভাগীরথী নদীতে সেতুর পরিবর্তে ভেসেলে পারাপার করতে হচ্ছে ভারী যানবাহন গুলিকে। ঘাট পারাপার করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ট্রাক সহ অন্যান্য গাড়িগুলিকে। আটকে পড়ছে সবজির গাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে মানুষের হয়রানি। বাড়ছে খরচও।

ভাগীরথী নদীতে নদিয়ার শান্তিপুরের কাছে রয়েছে দুটি ফেরিঘাট। একটি পূর্ব বর্ধমানের কালনা ও অপরটি হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। প্রত্যেকটি ফেরিঘাটে যানবাহনের লম্বা লাইন। সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে পণ্যবাহী ট্রাক ও গাড়ি। বাড়ছে যানবাহনের মাধ্যমে যাতায়াতের খরচ, স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে জিনিসপত্রের মূল্য।

প্রায় ৪৫ দিন নদিয়ার নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকার ফলে প্রভাব পড়ল শান্তিপুরের ফেরিঘাট গুলিতে। বড়, ছোট এবং মাঝারি যানবাহনের লম্বা লাইন শান্তিপুরের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট কালনা এবং গুপ্তিপাড়ায়। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পণ্যবোঝাই গাড়িগুলিকে। তার মধ্যে রয়েছে সবজি বোঝাই গাড়ি। বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, বীরভূম, বাঁকুড়া সহ বেশ কয়েকটি জেলার সঙ্গে নদিয়ার যোগাযোগ রয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের মাধ্যমে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গেও বর্তমানে সড়কপথে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম এই গৌরাঙ্গ সেতু।

মেরামতির জন্য গৌরাঙ্গ সেতু ৪৫ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবহন দফতর। সেই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর একাধিক গাড়ি শান্তিপুরের কালনাঘাট এবং গুপ্তিপাড়া ঘাট দিয়ে পারাপার করত। আপাতত ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যদি শান্তিপুরে ভাগীরথী নদীর উপর কালনা ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়, তাহলে এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ।

কয়েক বছর আগে শান্তিপুরের কালনা থেকে ভাগীরথী নদীর উপর দিয়ে ব্রিজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। অনুমোদন হওয়ার পর মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ হলেও এখন জমি জটের থমকে এই ব্রিজের কাজ। স্বাভাবিকভাবেই বর্ধমান এবং হুগলি যাতায়াতের একমাত্র সেতু নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ ব্রিজ। সেই কারণে যানবাহনের চাপ এড়াতে অত্যন্ত প্রয়োজন এখন ভাগীরথী নদীর উপর দিয়ে আরেকটি সেতু নির্মাণ।