নদিয়া: পলাশিপাড়ায় বাড়িতে ঢুকে একই পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। তিনি ওই পরিবারেরই প্রতিবেশী। ধৃতের নাম কৃষ্ণ মণ্ডল। মঙ্গলবার তিনটি দেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবেশী কৃষ্ণকে একাধিকবার জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছিল, বাড়ির সামনে পাথর ফেলাকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেই ওই পরিবারের সঙ্গে কৃষ্ণর ঝামেলা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগোতে থাকে পুলিশ। মৃত মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার সকালে নদিয়ার পলাশিপাড়ায় একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতি ও তাঁদের মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম ডোমন রাজোয়ার (৬২), সুমিত্রা রাজোয়ার (৫৫), মালা রাজোয়ার (৩০)। তাঁদেরকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় প্রথমে ওই পরিবারের জামাইয়ের দিকে আঙুল তোলেন প্রতিবেশীরা। ওই মহিলার জামাই কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। প্রতিবেশীদের দাবি, ভিন রাজ্যেই অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই পরিবারের জামাই। তা জানতে পেরে যান তাঁর স্ত্রী। আর তা নিয়ে বিবাদ ছিল। তাই স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার কাছে এসে থাকতেন এই বাড়ির মেয়ে। সেই আক্রোশ থেকেই স্বামী লোক লাগিয়ে স্ত্রী ও তাঁর বাবা-মাকে খুন করিয়ে থাকতে পারেন বলে অভিযোগ তুলছিলেন প্রতিবেশীরা।
পুলিশের পক্ষ থেকে জামাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে দিন দুয়েক আগে এক প্রতিবেশীর ঝামেলা হয়েছিল। তাঁর দাবি, বাড়ি তৈরির জন্য উঠোনে পাথর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুদিন আগে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুর।
এরপরই কৃষ্ণকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। কথায় একাধিক অসঙ্গতি থাকায় রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।