Nadia Crime: গলির মুখে দাঁড়িয়েছিল ছিল ঘাপটি মেরে, মায়ের সঙ্গে প্রকাশ্যেই ঘৃণ্য আচরণ ছেলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 25, 2021 | 11:24 AM

Nadia Crime: পারিবারিক বিবাদের জেরে মাকে রাস্তায় ফেলে কোপানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরে। আক্রান্ত মহিলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।

Nadia Crime: গলির মুখে দাঁড়িয়েছিল ছিল ঘাপটি মেরে, মায়ের সঙ্গে প্রকাশ্যেই ঘৃণ্য আচরণ ছেলের
মায়ের ওপর 'হামলা' ছেলের (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

নদিয়া: রাস্তার ধারে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন বছর পঞ্চান্নর এক মহিলা। প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। রক্তাক্ত সারা শরীর। গলায়-পিঠে-পায়ে তাঁর মারাত্মক ক্ষত। রক্তে ভেসেছে রাস্তা। দ্রুত উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই প্রৌঢ়া জানালেন আসল ঘটনা। বিষয় সম্পত্তির জেরে তাঁর ছেলেই এ হাল করেছেন তাঁর। পারিবারিক বিবাদের জেরে মাকে রাস্তায় ফেলে কোপানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরে। আক্রান্ত মহিলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্তিপুর পুরসভার লেবু তলা এলাকার বাসিন্দা অন্নবালা হালদার। তিনি প্রত্যেকদিনই সকালে কাজে বের হন। অভিযোগ, আজ সকালে যখন কাজে যাচ্ছিলেন, তখনই দত্ত পাড়া এলাকায় অতর্কিতে তাঁকে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় বড় ছেলে সোমনাথ হালদার।

ছেলে যে এমনটা করতে পারেন, তা ঘুণাক্ষরেও আগে টের পাননি তিনি। হাসপাতালে যাওয়ার আগে প্রতিবেশীদের জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই বিষয় সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। এর আগেও বড় ছেলের সঙ্গে মারাত্মক অশান্তি হয়েছে। তবে ছেলে যে তাঁকে এইভাবে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করবেন, তা ভাবেননি তিনি।

হামলার পর পালিয়ে যান সোমনাথ। রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন তিনি। পরে তাঁরগোঙানি শুনতে পেয়ে প্রতিবেশী ও পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় অন্নবালাকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার অবনতি হলে তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সাতসকালে এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শান্তিপুরে।

আক্রান্তের স্বামী কার্তিক হালদার বলেন, “আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমার স্ত্রী কাজে বেরিয়ে যান। এদিনও বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে প্রতিবেশীদের মুখ থেকে শুনি আমার বড় ছেলে নাকি আমার বউকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দিয়েছে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে। কথা শুনেই দৌড়ে যাই। কিন্তু ততক্ষণে এলাকার লোকই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। আমি চাই আমার বড় ছেলেটা জেলে থাকুক। ওখানেই খাক-ঘুমোক। বের হলে তো আবারও কারোর ওপর হামলা করতে পারে।”

চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, অন্নবালার ঘাড়ের কাছে গভীর ক্ষত রয়েছে। তাঁর চিকিত্সা চলছে। শরীর থেকে অনেকটাই রক্ত বের হয়েছে।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশও জানতে পেরেছে বেশ কিছুদিন ধরে বিষয় সম্পত্তি নিয়ে হালদার পরিবারে বিবাদ চলছিল। আর সেই কারণ থেকেই এই আক্রমণ বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। অভিযুক্ত সোমনাথ হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Hooghly Child Death: হাসপাতালের ডাক্তার বললেন, ‘পেটের শিশুর চোখই ফোটেনি’, কিন্তু মারাত্মক সত্যিটা জানাল নার্সিংহোম

আরও পড়ুন: Weather Update: ক্রমেই পারদ নিম্নমুখী, তবে কি এবার শিরশিরে ব্যাপার অনুভূত হবে শীত?

Next Article