Nadia: স্বামীর কাছে ‘আটকে’ ছেলে, ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়িতে ধরনায় মহিলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 22, 2022 | 6:42 PM

Nadia: ১৭ দিন ধরে ৬ বছরের শিশুকে আটকে রাখার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, ছেলেকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়িতে ধরনা সোনালির।

Nadia: স্বামীর কাছে আটকে ছেলে, ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়িতে ধরনায় মহিলা

Follow Us

তেহট্ট: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ (Dispute between husband and wife) চলছিল দীর্ঘদিন থেকে। এমনকী অশান্তি বাড়তে থাকলে ছয় বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িও চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। অভিযোগ, পরবর্তীতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বউয়ের হাত থেকে জোর করে ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসেন স্বামী। বাড়িতে ১৭ ধরে তাঁকে আটকেও রাখেন বলে অভিযোগ। এবার ছেলেকে ফিরে পেতেই স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনা দিল স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের কড়ুইগাছির উত্তরপাড়া এলাকায়। 

পরিবার সূত্রে খবর, আট বছর আগে তেহট্টের জিতপুরের সোনালি হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় কড়ুইগাছির জগন্নাথ হালদারের। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় বলে পরিবার সূত্রে খবর। আর সে কারণেই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন সোনালি দেবী। তারপর থেকে শিশুটি মায়ের কাছেই থাকত। সোনালি দেবীর অভিযোগ, এই বছর দশমীর দিন তাঁকে মারধর করে ছেলেকে নিয়ে চলে যান জগন্নাথ। এরপর বাড়িতেও দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখেন। এমনকী ছেলে বারবার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জগন্নাথ। তাঁর অভিযোগ, ছেলেকে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় অর্থাৎ তেহট্টের একটি জায়গায় ফেলে রেখে গিয়েছিল তার স্ত্রী। তা দেখেই তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় বলে দাবি জগন্নাথের। ঘটনা প্রসঙ্গে সোনালি হালদার বলেন, “আমি থানায় অভিযোগ করেতে গিয়েছিলাম। থানায় বলে বাবা নিয়ে গিয়েছে তো আমরা কী করব। আপনি আদালতে যান।” জগন্নাথ হালদারের দাবি, “যা হবে আইনের মাধ্যমে হবে। বারবার ঝামেলা আমি চাই না। ছেলেকে আমি আটকে রাখিনি। এটা মিথ্যা কথা। ও তো তেহট্টের ওখানে ছেলেটাকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। আমি নিয়ে এসেছিলাম। তবে মায়ের কাছে ছেলেকে দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু প্রশাসনের মাধ্যমেই দিতে চাই। তবে আমাদের সাংসারিক কারণে আমাদের মধ্যে ঝামেলা। সেখান থেকেই বিবাদের সূত্রপাত।”  

Next Article