Nadia: গুচ্ছ গুচ্ছ কন্ডোম, সঙ্গে ৫-৬ তরুণী! মহিলাঘটিত কেসে ফাঁসলেন এলাকার হেভিওয়েট TMC নেতার বাবা

Mahadeb Kundu | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 20, 2024 | 1:15 PM

Nadia: ধৃতদের আগামী শনিবার কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে। এলাকার মানুষের দাবি যে, চাপড়া থানা সুভাষপল্লি এলাকায় ওই ব্যক্তি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা করতেন।অভিযোগ, শাসক দলের ক্ষমতা থাকায় সুবাদে নিজের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দিনে দুপুরে এই দেহ ব্যবসা কারবার চালাতেন।

Nadia: গুচ্ছ গুচ্ছ কন্ডোম, সঙ্গে ৫-৬ তরুণী! মহিলাঘটিত কেসে ফাঁসলেন এলাকার হেভিওয়েট TMC নেতার বাবা
গ্রেফতার তৃণমূল নেতার বাবা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নদিয়া: তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যর বাবার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ।  কয়েকজন মহিলা-সহ গ্রেফতার পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা।  স্থানীয় বাসিন্দাদেরই অভিযোগ, দীর্ঘদিন প্রভাব খাটিয়েই চলছিল এই ব্যবসা। চাপড়া থানা পুলিশ শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কয়েকজন মহিলা-সহ তাঁকে গ্রেফতার করে।এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, চাপড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য কৌশিক ঘোষের বাবা বিশ্বজিৎ ঘোষ এলাকায় শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালাতেন।

শুক্রবার চাপড়া থানার পুলিশ হানা দিয়ে চার যুবক এবং কয়েক জন মহিলাকে অসংলগ্ন অবস্থায় তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মোটর বাইক। যে মোটরবাইকগুলি তাঁরা ব্যবহার করেন, সেগুলিও ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ধৃতদের আগামী শনিবার কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে। এলাকার মানুষের দাবি যে, চাপড়া থানা সুভাষপল্লি এলাকায় ওই ব্যক্তি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা করতেন।অভিযোগ, শাসক দলের ক্ষমতা থাকায় সুবাদে নিজের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দিনে দুপুরে এই দেহ ব্যবসা কারবার চালাতেন। বাড়িতে সবসময়ে থাকতেন একাধিক মেয়ে। কেউ কিছু প্রশ্ন করলেই, তাঁদেরকে বলতেন দলেরই কাজে এসেছেন ওই মহিলারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা তো অনেক আগেই জানতাম। এত মহিলা সব সময়ে বাড়িতে কেন আসবে? তাও নিত্য নতুন। দলের লোক তো! ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে পারেন না। সবটাই আঁচ করেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেন না।” একাধিকবার প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছেন মানুষ। তাঁদেরকে ভয় দেখানো ও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানিও তেমন ভাবে সুরানা মেলেনি বলে অভিযোগ। অবশেষে আজ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতারা। চাপড়ার বিধায়ক রুপবানের রহমান বলেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। আইন আইনের মতো চলবে।” তবে সরব বিরোধীরা।

স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রকাশ অধিকারীর বক্তব্য, “চাপড়ার বুকে এই ধরনের ঘটনা আশা করা যায় না। এর আগেও পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন আগে কখনই ব্যবস্থা করেনি। এখন শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত অঞ্চলগুলোর মানুষ ওদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।”

সিপিএম নেতা মলয় বিশ্বাস বলেন, “ওঁর নাকে অনেক রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। নিজেই বলতেন থানা পুলিশ হাতে আছে। আসলে আমরা অনেক আগেই পুলিশকে বলেছি। কিন্তু পুলিশ চুপ ছিল। এখন পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা চলছে।”

Next Article