Nadia: ছেড়ে গিয়েছে স্বামী, কোলের সন্তানকে আকড়েই বেঁচেছিল রূপসনা! আচমকা দুর্ঘটনাতেই সব শেষ…

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 04, 2022 | 7:04 PM

Nadia: খেলতে খেলতে দুর্ঘটনা! ট্রাক্টরের হুলে গড়িয়ে পড়ে মৃত্যু দু’বছরের খুদের।

Nadia: ছেড়ে গিয়েছে স্বামী, কোলের সন্তানকে আকড়েই বেঁচেছিল রূপসনা! আচমকা দুর্ঘটনাতেই সব শেষ…

Follow Us

নদিয়া: মুহূর্তেই শোকের ছায়ায় অন্ধকার নেমে এল নদিয়ার (Nadia) আরিজনগর এলাকার মল্লিক পরিবারে। মাত্র দু’বছরের শিশুকে হারাল তাঁরা। ঘটনা শনিবার বিকালের। খেলতে খেলতেই দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হল ইউসুফ মল্লিকের। সূত্রের খবর, বাড়িতে চাষের কাজের জন্য ব্যবহৃত ট্র্যাক্টরের উপর খেলছিল একরত্তি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডেই ব্যবধানেই যেন তার রঙিন দুনিয়াটা ছেয়ে গেল অন্ধকারে। খেলতে খেলতে ট্রাক্টরের পিছন দিকে রাখা হুলের উপর পড়ে যায় সে। যদিও হুলগুলি উল্টো করে রাখা থাকলেও মাথায় ভয়ানক ভাবে চোট পায় সে। 

গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরাই প্রথমে তাকে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানে গিয়েও আশার আলো দেখতে পাননি পরিবারের সদস্যরা। শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে কলকাতায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরই তড়িঘড়ি তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, রানাঘাট পেরোতেই মৃত্যু হয় ইউসুফের। 

এদিকে কোলের সন্তানকে হারিয়ে দেড়বছর ধরে স্বামীহারা রূপসনা খাতুনের বুকে যেন পাহাড় ভেঙে পড়ে এদিন। বর্তমানে এক মাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা মা। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ পর কোনওরকমে দিন কাটছিল তাঁর। একমাত্র ছেলেকে আকড়েই দেখতে শুরু করেছিল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। কিন্তু, একটা দুর্ঘটনায় সেও তাকে ছেড়ে পাড়ি দিল পরলোকের পথে। ঘটনা প্রসঙ্গে রূপসনা বলেন, “স্বামী আমার সঙ্গে থাকত না। মারধর করত। বাড়ি বাইরে যেতে দিত না। প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল স্বামী ছেড়ে দিয়েছে আমায়। অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে। আমারও খোঁজ খবর নিত না, ছেলেরও খোঁজ নিত না।”

অবশ্য, এ প্রসঙ্গে রূপসনা খাতুনের স্বামীর বক্তব্য, “ওর নানীর বাড়িতে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। ওখানেই ওরা থাকে। আমি বেঙ্গালুরুতে নতুন বউয়ের সঙ্গে থাকি।” অভিযোগ, রূপসনাকে খাতুনকে খাতায়কলমে ডিভোর্স না দিয়েই এক মহিলার সঙ্গে ঘর বাঁধেন তার স্বামী। বিয়ের অনেক পরে রূপসনাকে সে ডির্ভোসের চিঠি পাঠায় বলে খবর। এ প্রসঙ্গ স্থানীয় বাসিন্দা আলিনুয়াজ মল্লিকের দাবি, “এক বছর আগেই অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন রূপসনার স্বামী। হামেশাই তাদের মধ্যে অশান্তি চলত। আপাতত বেঙ্গালুরুতে নতুন বউকে নিয়ে থাকে। সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়েই এখানে ফিরেছে।”

Next Article