AWAS Yojana: রয়েছে পাকা বাড়ি, তাও প্রধানের ভাইয়ের নাম আবাস প্লাসের তালিকায়, ধরা পড়তেই যা হল…

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 10, 2022 | 6:57 PM

Awas Yojana: তালিকা থেকে বাতিল করে দেওয়া হয় প্রধানের ভাইয়ের নাম। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী মহকুমার সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতে।

AWAS Yojana: রয়েছে পাকা বাড়ি, তাও প্রধানের ভাইয়ের নাম আবাস প্লাসের তালিকায়, ধরা পড়তেই যা হল...
কী ঘটছে নদিয়ায়?

Follow Us

নদিয়া: জেলায় জেলায় আবাস প্লাস প্রকল্পের  (AWAS Plus Scheme) সুবিধা প্রাপকদের নামের তালিকা যাচাইয়ের কাজ চলছে। সেই মতো নদিয়া (Nadia) জেলাতেও জোরকদমে চলছে তালিকা যাচাই। আর তাতেই ধরা পড়ল বিশাল কাণ্ড। পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের পাকা বাড়ি রয়েছে। প্রধানের বাবার নামে রয়েছে সেই বাড়ি। অথচ সেই প্রধানের ভাইয়ের নামও রয়েছে আবাস প্লাসের তালিকায়। পরিদর্শনে গিয়ে এই কাণ্ড দেখেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হল। তালিকা থেকে বাতিল করে দেওয়া হয় প্রধানের ভাইয়ের নাম। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী মহকুমার সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতে।

এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে রয়েছেন প্রবীর হালদার। শনিবার এই গ্রামে আবাস যোজনার তালিকা যাচাই করতে এসেছিলেন পঞ্চায়েতের সরকারি আধিকারিক ও কল্যাণীর মহকুমা শাসক হীরক মণ্ডল। তথ্য যাচাই করতে আসা সরকারি আধিকারিকদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য দেখান প্রধান নিজেই। সেই তথ্য খতিয়ে দেখার সময়েই প্রধানের ভাই প্রদীপ হালদারের নাম তালিকা থেকে বাতিল করে দেন মহকুমা শাসক। প্রসঙ্গত, প্রধানের ভাই প্রদীপ সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সামান্য কর্মী। ২০১৭ সালে আবাস যোজনার সমীক্ষায় তাঁর নাম উঠেছিল তালিকায়। তখনও তাঁর পাকা বাড়ি ছিল বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে এখন উপভোক্তাদের নামের তালিকা ধরে ধরে তথ্য যাচাই চলছে জেলায় জেলায়। সেখানে বিভিন্ন সরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি তুলছেন। শনিবার সেই কাজেই সগুনা গ্রামে গিয়েছিলেন কল্যাণী ব্লক আধিকারিক, কল্যাণী মহকুমা শাসক ও কল্যাণী থানার আইসি। সেই সময় প্রধানের ভাই প্রদীপ বাড়িতে ছিলেন না। পরিদর্শনে আসা আধিকারিকদের যাবতীয় তথ্য দেখান প্রধান নিজেই। আর এরপরই প্রদীপ হালদারের নাম বাতিল করে দেন মহকুমা শাসক। তিনি বলেন, “শুধু প্রধানের বাড়ি নয়, সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা হচ্ছে। আবাস প্লাসের তালিকা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।” প্রধানের ভাইয়ের নাম যে তালিকা থেকে বাদ যাবে, সেই কথাও সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান মহকুমাশাসক।

যদিও এই বিষয়ে প্রধান প্রবীর হালদার জানান, “আমি ২০১৮ সালে প্রধান হয়েছি। তার আগেই ভাই আবেদন করেছিল। ও আলাদা টিনের ঘরে বসবাস করে। যদি সরকারি আওতার মধ্যে না পড়ে, ঠিক আছে। সরকারি নিয়ম সবাইকেই মেনে চলতে হবে।”

Next Article