Nadia: শুধু গাছের ফুল তোলাতেই…, সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘দৌরাত্ম্যে’ অশনি সংকেত দেখছেন NCW সদস্য
Nadia: এদিন মৃত সরস্বতী দের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনাটি নিয়ে সরব হন অর্চনা মজুমদার। মৃত মহিলার বাড়িতে যাওয়ার আগে তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত মহিলার পরিবারের লোকজন।

নদিয়া: গাছের ফুল তোলায় মহিলাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। শান্তিপুরে মৃত ওই মহিলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সোমবার দেখা করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তিনি। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘দৌরাত্ম্য’ বেড়েছে বলে সরব হলেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।
শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর এলাকায় গত শনিবার সরস্বতী দে নামে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মেয়ে মৌসুমী হালদার বলেন, গত শুক্রবার ভোরে তাঁর মা পুজোর জন্য ফুল তুলতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে চোর অপবাদ দিয়ে অপমান ও মারধর করেন প্রতিবেশী সিভিক ভলান্টিয়ার অমিত করাতি ও তাঁর বাড়ির লোকজন। সরস্বতী দেকে চড় থাপ্পড় মারা হয় বলেও অভিযোগ মৌসুমি দের।
শনিবার ভোরে সরস্বতী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গোয়ালঘর থেকে। মৌসুমির অভিযোগ, বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তরা রাতের অন্ধকারে তাঁর মাকে জোর করে গোয়ালঘরে নিয়ে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে। এই নিয়ে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এখনও পর্যন্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা অসীম করাতিকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, মূল অভিযুক্ত অমিত করাতি এখনও অধরা।
এদিন মৃত সরস্বতী দের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনাটি নিয়ে সরব হন অর্চনা মজুমদার। মৃত মহিলার বাড়িতে যাওয়ার আগে তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত মহিলার পরিবারের লোকজন। মৃত মহিলার নাবালক পুত্র রয়েছে। সরকার তাঁর পড়াশোনার দায়িত্ব নেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
পরে অর্চনা মজুমদার বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়বাড়ন্ত, দৌরাত্ম্য আজকে সমাজে একটা ভয়ের কারণ। পাড়ার লোকও বলছে, ওই পরিবার সবসময় ক্ষমতা দেখায়। ধরাকে সরা জ্ঞান করে।” পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ঠিকমতো এফআইআর করেনি।

