নদিয়া: হাসপাতালের বাইরে ও ভিতরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ঝোপ-জঙ্গলে ভরে গিয়েছে এলাকা। বাইরে ঝোপঝাড়, ভিতরে পোকামাকড় কামড়ানোর আশঙ্কা। রাজ্যের অন্যতম হার্ট স্পেশালিটি হাসপাতালের অবস্থায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
নদিয়ার কল্যাণী বিধানসভার গয়েশপুরে গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল। হৃদরোগের অন্যতম চিকিৎসা কেন্দ্র। হাসপাতালটিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু রোগি চিকিৎসা করতে আসেন। তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা এখানে থাকেন। কেউ-কেউ আবার বিশ্রাম নিয়ে চলে যান। পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার কারণে অনেকেরই অস্থায়ী ঠিকানা হয় এই গান্ধী হাসপাতাল। রোগী ভর্তি থাকার কারণে পরিবারের সদস্যদের সেখানেই খাওয়া-দাওয়া থেকে বিশ্রাম করতে হয় হাসপাতাল চত্ত্বরে।
তবে হাসপাতালের অবস্থায় আশেপাশের অবস্থা দেখলে কপালে হাত দিতে হয়। ভিতরে-বাইরে একই অবস্থা। হাসপাতালে বাইরে যেমন অস্বাস্থ্যকর, ভিতরের পরিবেশও তেমনি। আর সেই অভিযোগ তুলছে পরিবারের সদস্যরা। বিষাক্ত পার্থিনিয়াম গাছে ভরে গিয়েছে হাসপাতাল চত্ত্বর। যার কারণে রোগী সহ পরিজনদের যথেষ্ট স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে দাবি চিকিৎসক মহলের।এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের সদস্যদের।
এই অবস্থা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য হাসপাতালের সুপার সহ গয়েশপুর পুর প্রধান নিজেদের ব্যার্থতা শিকার করে নিয়ে তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। এই বিষয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘এই সম্বন্ধে আমার মনে হয় কোনও বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষা আমাদের হাতে নেই। তবে পার্থেনিয়াম যে কোনও শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভয়ের। সুতরাং তাঁদের ক্ষেত্রে পার্থেনিয়ামের ক্ষতিকর। তাই আমি আবেদন করব এই পার্থেনিয়াম গাছগুলিকে নিকেশ করা দরকার। আমরা এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি।’ এক রোগীর পরিজন বলেন, ‘রোগীর এক আত্মীয় বলেন, ভিতরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। বাইরে গজিয়েছে পার্থেনিয়াম গাছ। যা শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই ভয়ঙ্কর। আমরা চাই যে এই গাছগুলি পরিষ্কার করা হোক। কারণ শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য মোটেই ভাল নয়’