নদিয়া : আবারও রাজ্য়ে চলল গুলি। হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হল। আহত ব্যক্তির নাম সহদেব মণ্ডল। সূত্রের খবর তিনি স্থানীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সহদেব মণ্ডলকে পিছন থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে। মাথায় গুলি লাগার পরই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে আসে। বর্তমানে সহদেবের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গিয়েছে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল থেকে তাঁকে কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, সহদেবের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল বগুলা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্যা। সহদেব মণ্ডলও তৃণমূল করতেন বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে হাঁসখালি থানার পুলিশ গিয়েছে। ঘটনাস্থলেও বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আনুমানিক সন্ধে সাড়ে ৭ টা থেকে ৮ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।আক্রান্ত সহদেব মণ্ডলের স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যা বলেছেন, “আমার স্বামীকে পিছন থেকে এসে গুলি করেছে। কারা এই কাজ করেছে চিনতে পারেনি।” সহদেব মণ্ডল পেশায় শিক্ষক বর্তমানে। সহদেবের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল জানিয়েছেন যে, এদিন সন্ধেবেলায় তিনি বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ির কাছেই স্কুল মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা পিছন থেকে গুলি করে। এদিকে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেছেন যে, এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। সহদেবের উপর গুলি চালানোর কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “সহদেব খুব সক্রিয় কর্মী। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাঁকে দমানোর জন্যও এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে।” তিনি আরও বলেছেন, “আবার কোনো পুরোনো শত্রুতার কারণেও এই খুন করার চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে।”
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে এই নদিয়াতেই তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। তারপর আবার তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে রামপুরহাট হত্য়াকান্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য শোরগোল পড়ে গিয়েছে।