Mahua Moitra: ‘কাঁচা ঘর গরমকালে আরামদায়ক, ঠান্ডা থাকে’, মহুয়ার মন্তব্যে বিতর্ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 11, 2023 | 7:52 PM

Mahua Moitra: 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচির প্রচারে বেরিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোন প্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন, তা অবশ্যই ব্যাখ্যা যোগ্য... তবে সাংসদের এ হেন মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Mahua Moitra: কাঁচা ঘর গরমকালে আরামদায়ক, ঠান্ডা থাকে, মহুয়ার মন্তব্যে বিতর্ক
মহুয়া মৈত্র

Follow Us

নদিয়া: আবাস যোজনার আওতায় যখন গরিব মানুষদের মাথার উপর পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, তখন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বললেন, ‘কাঁচা ঘর গরমকালে আরামদায়ক, ঠান্ডা থাকে।’ যদিও এই মন্তব্য তিনি কোনও জনসভা বা কোনও কর্মিসভা থেকে করেননি। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির প্রচারে বেরিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোন প্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন, তা অবশ্যই ব্যাখ্যা যোগ্য… তবে সাংসদের এ হেন মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

একটি কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী এক মহিলার সঙ্গে কথা বলছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেই সময় কৃষ্ণনগরের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, “এই বাড়িগুলি খুব ঠান্ডা থাকে। গরমকালে খুব আরাম লাগে। তবে শীতকালে ঠান্ডা লাগে।” ওই মহিলার ঘরের রান্না-বান্না হয়ে গিয়েছে কি না, সেই সব নিয়েও খোঁজখবর নেন মহুয়া। প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা নতুন কিছু নয়। মাটির তৈরি কাঁচা ঘর গরমকালে ঠান্ডাই থাকে। এতে নতুন কিছু নয়। তবে তিনি যে সময়ে এই মন্তব্য করেছেন, বর্তমানের রাজ্য রাজনীতির সেই প্রেক্ষিত স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বিশেষ করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে যখন আবাস যোজনায় বেনিয়মের অভিযোগে কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে বিরোধী দলগুলি, তখন ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এর অভিযানে নেমে কাঁচা ঘরের সুবিধার দিকগুলির কথা মহুয়ার মুখে উঠে আসছে। এতে কি উল্টে শাসক দলের অস্বস্তিই বাড়ল? এমন প্রশ্নও উঠে আসছে।

এদিন যখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে কথা বলছিলেন মহুয়া, তখন গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘরেরে অবস্থা দেখান মহুয়াকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সেই সময় তাঁরা জানান, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। জানা গিয়েছে, সেই সময় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কাঁচাবাড়ির সেই সুবিধার কথা উঠে আসে মহুয়ার মুখে। মহুয়া মৈত্র সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর গ্রামবাসীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঘর দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের কোনও আশ্বাসবাণী দেওয়া হয়েছে কি না। যদিও এই নিয়ে ইতিবাচক কোনও আশ্বাস পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। ওই গ্রামবাসী জানাচ্ছেন, ঘর পাওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “ওনাকে বলুন কাঁচা ঘরে থাকতে। আমরা তো খবর পেয়েছি, উনি একটি সরকারি আবাসন নিয়ে রেখেছেন, তার ৭৫ লাখ টাকা ভাড়া বাকি। আমি একটি আরটিআই-ও করেছি। আরটিআই-এর জবাব এলে জানাব বিষয়টি। ৭৫ লাখ টাকা ভাড়া দিচ্ছেন না উনি। কী দরকার এইসব সরকারি কংক্রিটের জঙ্গলে থাকার? উনি মাটির বাড়ি বানিয়েও তো কলকাতার বুকে থাকতে পারেন। আমরাও একটু গিয়ে দেখব কেমন আরাম লাগে সেখানে।”

Next Article