নদিয়া: এলাকায় টিউবওয়েল বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-সিপিএম বিবাদ। গুলি চালানোর অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর বিরুদ্ধে। আহত কমপক্ষে দুই জন। পুলিশের সামনেই পিস্তল বার করে গুলি চালানোর অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি নদীয়ার কালীগঞ্জ থানার পালিত দেঘিয়া গ্রামে।
কালীগঞ্জ থানা এলাকায় একটি সরকারি টিউবওয়েল বসানোকে কেন্দ্র করে বিবাদ বাধে। ওই এলাকায় সিপিআইএম-এর দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত থেকে এলাকায় একটি টিউবওয়েল বসান। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শামিম আহমেদ ওই জায়গায় পানীয় জলের কলটি বসাতে দিতে রাজি হননি। তা নিয়েই গন্ডগোল। এরপর সিপিএমের পরিবারের এক সদস্য পড়াশোনা করে বাড়ি ফিরছিল। তখনই তার উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।
সিপিএম ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির লোকজন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে বচসা বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই সিপিএম ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালান শামিম আহমেদ। গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। আবার ওই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের আক্রমণে আহত হন বেশ কয়েকজন।
এলাকার মানুষ আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় দেবগ্রাম হাসপাতালে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। আক্রান্তদের অভিযোগ যে পুলিশের সামনেই পিস্তল বার করে গুলি চালান শামিম আহমেদ। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।