Attack on Police: তারস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় পুলিশকেই রাস্তায় ফেলে মারধর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Feb 04, 2023 | 6:34 PM

Nadia: আদালত এদিন ঘটনা মূল অভিযুক্ত দুইজনের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে এবং বাকি অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Attack on Police: তারস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় পুলিশকেই রাস্তায় ফেলে মারধর
আক্রান্ত পুলিশকর্মী

Follow Us

নদিয়া: বাড়ির পুজোর বিসর্জন ছিল। সেই বিসর্জন সেরে ফেরার পথে তারস্বরে মাইক বাজছিল। কাছেই রানাঘাট থানা। সেই থানার অনতিদূরেই বিকট শব্দে চলছিল মাইক। তার প্রতিবাদ করেছিল দুই পুলিশকর্মী। মাইকের শব্দ কমানোর জন্য বলেছিলেন। আর এরপর যা হল, তা কল্পনার অতীত। পুলিশকর্মীদেরই ধরে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই মহিলা সহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন তাদের রানাঘাট আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত এদিন ঘটনা মূল অভিযুক্ত দুইজনের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে এবং বাকি অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

জানা গিয়েছে, দুই পুলিশকর্মী মাইকের আওয়াজ কমানোর জন্য বললে অভিযুক্তরা রাস্তায় ফেলে পুলিশকর্মীদের মারধর করে। লাঠি, ইট, এমনকী ধারাল অস্ত্রও ছিল তাদের সঙ্গে। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর রানাঘাট থানার আরও পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। আহত পুলিশকর্মীদের দ্রুত রানাঘাট হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।

পরবর্তী সময়ে রানাঘাট থানার  সাব ইন্সপেক্টর আলতাব হোসেন এবং সাব ইন্সপেক্টর মীর রফিকুল আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, পুলিশের উপর হামলার এমন অভিযোগ সাম্প্রতিক অতীতে এর আগেও ঘটেছে বাংলায়। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় পিকনিক করতে গিয়ে পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হয়েছিল একদল মদ্যপ যুবক। সেদিনের ঘটনায় সাতজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনাতেও নিন্দার ঝড় উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। এবার ফের একবার পুলিশকর্মীদের উপর হামলা। এবার নদিয়ার রানাঘাটে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই নয় জনকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছেন পুলিশকর্মীরা, অভিযুক্তদের জেরা করছে পুলিশ।

Next Article