MAKAUT : একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুই উপাচার্য’! একজন বসে চেয়ারে, অন্যজন অপেক্ষায় লাউঞ্জে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Aug 04, 2022 | 5:03 PM

MAKAUT: পুরনো উপাচার্য সৈকত মৈত্র এদিন চলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর দাবি, কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে উপাচার্য পদে বহাল থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, মলয়েন্দু বাবু সেখানে বসে রয়েছেন।

MAKAUT :  একই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই উপাচার্য! একজন বসে চেয়ারে, অন্যজন অপেক্ষায় লাউঞ্জে
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়

Follow Us

নদিয়া : ভাবুন কাণ্ড! বিশ্ববিদ্যালয় একটাই। অথচ সেখানে উপাচার্য দুইজন। বৃহস্পতিবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একজন উপাচার্য বসে রয়েছেন উপাচার্যের ঘরে। অন্য উপাচার্য বসে রয়েছেন লাউঞ্জে। প্রসঙ্গত, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। মামলায় আদালতে বেশ ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য। খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল উপাচার্য বদলানোর বিজ্ঞপ্তি।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের উপাচার্য বদলি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সৈকত মৈত্রকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানো হয়। সেই জায়গায় বসানো হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মলয়েন্দু সাহাকে। ১ অগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে রয়েছেন মলয়েন্দু বাবু। এদিকে পুরনো উপাচার্য সৈকত মৈত্রও এদিন চলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর দাবি, কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে উপাচার্য পদে বহাল থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, মলয়েন্দু বাবু সেখানে বসে রয়েছেন। তাই অগত্যা সৈকত মৈত্রকে লাউঞ্জে বসেই অপেক্ষা করতে হয়।

সৈকত মৈত্র জানান, “রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। সকালে কোর্টে শুনানি ছিল। আদালতের নির্দেশ আসার পর আমি চলে আসি এখানে। আদালত মান্যতা দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে অসহায়তার ভাব দেখাচ্ছে। রেজিস্ট্রারের কাছে আদালতের নির্দেশের কপি পাঠানো হয়েছে। তারপরও তাঁরা দোলাচলে রয়েছেন এইভাবে।” উপাচার্যের ঘরে এখনও মলয়েন্দু বাবুর বসে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “সেটা আমরা আদালতে জানাব। দেখা হবে, আইনগতভাবে কী করা যায়। আদালতের নির্দেশের বিরোধিতা করার যৌক্তিকতা কতটা রয়েছে সেটা তাঁর দায়িত্ব।” যদিও বিষয়টি নিয়ে মলয়েন্দু বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলতে চান না বলেই জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী।

Next Article