Crime News: বাবার ফিরতে দেরী হওয়ায় ডাকতে যান যুবক, গাছের আড়ালে বাবার অবস্থা দেখে হতবাক ছেলে

Nadia: দক্ষিণ চাঁদামারি মাঝের স্কুল এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণকান্ত শিকদার। ক্ষেতের কাজ করেন তিনি। অভিযোগ, শ্যালক নির্মল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল।

Crime News: বাবার ফিরতে দেরী হওয়ায় ডাকতে যান যুবক, গাছের আড়ালে বাবার অবস্থা দেখে হতবাক ছেলে
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2022 | 6:33 PM

নদিয়া: সকালবেলা কাজে যাচ্ছেন বলে বেরিয়েছিলেন প্রৌঢ়। যাওয়ার আগে ছেলের বৌ বারবারই বলেছিলেন, মুখে কিছু দিয়ে যেতে। বছর ৫৫’র কৃষ্ণকান্ত শিকদার বলেছিলেন, ফিরে এসে খাবেন। সকাল আটটার ঘটনা। এরপর বেলা গড়ালেও বাড়ি না ফেরায় ছেলে বাবাকে খুঁজতে যান। গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মাঠের ধারে। অভিযোগ, শ্যালকের ধারাল অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হয় জামাইবাবুর। নদিয়ার কল্যাণী দক্ষিণ চাঁদামারি মাঝের স্কুল এলাকায় শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ।

দক্ষিণ চাঁদামারি মাঝের স্কুল এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণকান্ত শিকদার। ক্ষেতের কাজ করেন তিনি। অভিযোগ, শ্যালক নির্মল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। নির্মল নামে ওই ব্যক্তি মদ, গাঁজা খেয়ে এসে প্রায়ই ঝামেলা করেন বলেও পরিবারের অভিযোগ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জমি বিবাদের কারণেই এই ঘটনা। শুক্রবার সকালে জমিতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণকান্ত। সেই সময় তাঁকে এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এদিকে বাবার ফিরতে দেরী হচ্ছে দেখে ছেলে কৃত্তিবাস শিকদার মাঠে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সারা শরীর রক্তে ভাসছে। দেহের বিভিন্ন অংশ কোপানো। এলাকার লোকজনই খবর দেয় কল্যাণী থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা বৃহস্পতি গায়েনের কথায়, “সব সময় মদ গাঁজা খেয়ে থাকে ওই শ্যালক। শুনলাম ও জামাইবাবুকে মেরেছে। কিন্তু কেন যে মারল কে জানে। কী যে ভূত চাপল ওর মাথায়।” কৃষ্ণকান্তের এক জামাই রাহুল কবিরাজ বলেন, “আমার শ্বশুর সকালে পাট বাছতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে মামাশ্বশুর মারধর করেন। উনিই কুপিয়েছেন। উনি সন্দেহ করেছিলেন শাশুড়িকে শ্বশুর মেরেছে। তাই এই অবস্থা করেন। ওনার মাথার বোধহয় ঠিক নেই।” এই ঘটনার নিহতের পরিবারের লোকজন যথাযথ বিচারের দাবি করেছেন। বাবার সেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন ছেলে কৃত্তিবাস। মেয়েরাও চিৎকার করে কেঁদে চলেছেন সমানে।