Nadia Firing: ‘আমি মরে যাব, আমাকে বাঁচান’, নার্সিংহোমে কাতর আর্তি গলায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 09, 2022 | 11:32 AM

Nadia: আহত তৃণমূল কর্মী জানান ১৯৯৭ সালে তাঁকে গুলি করেছিল অভিযুক্ত যীশু সিং। সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও বারবার তাঁকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ।

Nadia Firing: আমি মরে যাব, আমাকে বাঁচান, নার্সিংহোমে কাতর আর্তি গলায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

নদিয়া: নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী নারায়ণ দে’কে রাত্রিবেলা নিয়ে আসা হল সল্টলেকের বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর পরিবার সূত্রে খবর, ওই তৃণমূল নেতার গলায় একটি গুলি লাগে। তবে তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। সোমবার সকালে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন আদৌ নারায়ণ বাবুর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে কি না।

বস্তুত, রবিবার সন্ধ্যার ঘটনা। নদিয়ার চাকদহতে তৃণমূল কর্মী নারায়ণ দে-কে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত্রিবেলা তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এই বেসরকারি হাসপাতালে।

নারায়ণ বাবু চকদহ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণ দে তাঁর বাড়ির পাশের একটি বাগান বাড়িতে বসেছিলেন। সেই সময়ই গুলি চালানো হয়। গুলির খবর চাউর হতেই ছুটে আসেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। নারায়ণের গলায় গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।

কলকাতা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর নারায়ণ দে জানান, যীশু সিং নামে একজনের নেতৃত্বে তাঁর উপর এই হামলা চালানো হয়েছে। গুলি ছুড়েছেন মূলত তানু, গুড্ডু, বিপ্লব ও রতন পালরা। কাতর স্বরে তিনি বলেন, “আমি বাগান বাড়িতে বসে ছিলাম। ওরা এসে গুলি করেছে আমাকে। আমি মরে যাব। আমাকে বাঁচান।”

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এই তৃণমূল নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় প্রাণঘাতী হামলা হয় তাঁর উপর। আহত তৃণমূল কর্মী জানান, ১৯৯৭ সালে তাঁকে গুলি করেছিল অভিযুক্ত যীশু সিং। সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও বারবার তাঁকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। পঁচিশ বছর পর ফের একবার হামলার মুখে তৃণমূল এই কর্মী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ।

Next Article