Terrorist Link: বদ্ধ ঘরে বসে ঘাটত মোবাইল, কাদের সঙ্গে কথা হত জঙ্গি সন্দেহে ধৃত হেরাজের

Mahadeb Kundu | Edited By: Soumya Saha

Jun 25, 2024 | 8:48 PM

Shahadat Link: স্থানীয় সূত্রে খবর, হেরাজের জন্মের এক বছরই পরই তার বাবা মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এরপর থেকে মা, ভাইয়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকত হেরাজ। মামার বাড়ির পাশেই একটি ছোট্ট ঘরে থাকত তারা। জানা যাচ্ছে, হেরাজের মা অসুস্থতার কারণে বেশিরভাগ সময়ই কাটাতেন বদ্ধ ঘরের মধ্যে।

Terrorist Link: বদ্ধ ঘরে বসে ঘাটত মোবাইল, কাদের সঙ্গে কথা হত জঙ্গি সন্দেহে ধৃত হেরাজের
জঙ্গি যোগ সন্দেহে গ্রেফতার (প্রতীকী ছবি)
Image Credit source: TV9 Network

Follow Us

মায়াপুর: ‘শাহাদাত’ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগের সন্দেহে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। হেরাজ শেখ নামে বছর সাতাশের ওই যুবক আজ ধরা পড়েছে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে। এই হেরাজের বাড়ি নদিয়ার মায়াপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, হেরাজের জন্মের এক বছরই পরই তার বাবা মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এরপর থেকে মা, ভাইয়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকত হেরাজ। মামার বাড়ির পাশেই একটি ছোট্ট ঘরে থাকত তারা। জানা যাচ্ছে, হেরাজের মা অসুস্থতার কারণে বেশিরভাগ সময়ই কাটাতেন বদ্ধ ঘরের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর শারীরিকভাবে কিছুদিন অসুস্থ ছিল হেরাজ। অসুস্থতার কারণে তিন বছর ধরে সেরকম কোনও কাজ করতে পারেনি। পরে কখনও রাজমিস্ত্রির জোগানে খেটে, কখনও আবার শ্রমিকের কাজ করে টাকা জমিয়ে একটি মোবাইল কিনেছিল। ছোট্ট ওই বদ্ধ ঘরে মোবাইলই ছিল হেরাজের সঙ্গী। সেই মোবাইলে হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না পরিবারের কারও। বন্ধুদের সঙ্গে ফোন কথাবার্তা হত। তার মধ্যে কখন কার সঙ্গে কী কথা বলত, তা পুরোপুরি অজানা পরিবারের সদস্যদের কাছে।

আজকের এই ঘটনার খবর পেয়ে একপ্রকার থ হয়ে গিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। পাড়া প্রতিবেশীদেরও একই অবস্থা। সূত্রের খবর, গতকাল হাওড়ায় একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সকাল আটটা নাগাদ বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। কোনও এক পরিচিত ব্যক্তি তাকে গেঞ্জি কারখানায় কাজ পাইয়ে দেবে বলে তাকে বলেছিল, এই বলেই গতকাল বাড়ি থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল হেরাজ। এরপর কী হয়েছে, তা পরিবারের কাছে পুরোটাই অজানা। মঙ্গলবার পুলিশের ফোন আছে তার বাড়িতে, তখনই পাড়ার ছেলের জঙ্গি-যোগের সন্দেহে গ্রেফতারির কথা শুনে অবাক প্রতিবেশীরা।

Next Article