Nadia suicide: বন্ধ ঘরের দরজা, মধ্যরাতে আচমকা মা ঘরে ঢুকতেই ছেলেকে দেখে স্তম্ভিত

নদিয়া: পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে কোনও একটা অজানা কারণে অনেক সময়ই মনমরা হয়ে থাকতে যেত তাঁকে। এরপরই ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড। শনিবার সকালে দরজা খুলতে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্তদেহ।

নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়ার কালীপুরের ঘটনা। এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য। কিছুদিন আগেই তাঁর বাবার মৃত্যুর হয়। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে দাবি পরিবারের। বর্তমানে তার কোনও কর্মসংস্থান না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সে। তাহলে কি চাকরি না পাওয়ার কারণেই এই আত্মঘাতী? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে তার বাড়ির দোতালার ঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম কৌশিক পাল। বয়স আনুমানিক ২২ বছর।

স্থানীয় সূত্রে খবর কৌশিক ও তাঁর মা বাড়িতে একাই থাকতেন। কৌশিক কলেজের পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল। তবে মাঝে মধ্যে মনমরা হয়ে থাকত কৌশিক। গতকাল রাত্রিবেলা মায়ের করা খাবার খেয়ে ঘরে শুতে যায় সে। রাত্রিবেলা হঠাৎই কৌশিককে ডাকতে যায় তাঁর মা। সারা শব্দ না পাওয়াতে প্রতিবেশীরা এসে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে দেখে কৌশিক গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।

খবর দেওয়া হয় পুলিশকে, ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। এরপর ঘরের ভেতর থেকে কৌশিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা কৌশিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ মৃতদেহটি উদ্ধার করার পাশাপাশি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে কৌশিকের আত্মঘাতীর কারণে প্রতিবেশীদের রীতিমতো হতবাক। তাহলে কি কলেজের পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পাওয়ার কারণে কৌশিক আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিল? নাকি তার আত্মঘাতির পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্যতদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থাথার পুলিশ।