ময়না: শুক্রবার কালিয়াগঞ্জে যাচ্ছেন জাতীয় তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। কালিয়াগঞ্জে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে যাবেন তিনি। পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। মৃত্যুঞ্জয়ের ঘটনায় সিআইডি তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনাতে রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ), উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে নোটিস জারি করেছিল জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন। কমিশনের নির্দেশ ছিল, সাত দিনের মধ্যে এই তিন জনকে দিল্লিতে তাদের দফতরে হাজির হয়ে ওই ঘটনার বিশদ ব্যাখ্যা দিতে হবে। জেলার পুলিশ সুপার, কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি এবং এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করারও সুপারিশ করেছিল কমিশন।
গত ২১ এপ্রিল জেলায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশ যেভাবে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়, সেই ছবি আরও বিতর্ক বাড়ায়। এরপর উত্তেজিত জনতা কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরায়। ২৫ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন ‘রাজবংশী, তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠনের সমন্বয় কমিটি’-র হাজার হাজার মানুষ। অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা থানায় ঢুকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করেন।
২৬ এপ্রিল রাতে বিরাট বাহিনী কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে যায়। অভিযোগ, পুলিশ বিষ্ণুকে না পেয়ে তাঁর বাবা সবেন বর্মণকে গ্রেফতার করে। এর পরে পুলিশ বিষ্ণুর জামাই সাগর বর্মনকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে বিষ্ণুর পরিবারের গোলমাল বাধে। তখনই, পুলিশের গুলিতে বিষ্ণুর খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মৃত্যুঞ্জয় আবার শিলিগুড়িতে থাকতেন। আত্মীয়ের বিয়েতেই বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁর মৃত্যুও বিতর্ক বাড়ায়। সেই মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে এবার এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এমনকি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশের নেতৃত্বে খুন হয়েছে।’ রাজ্যে এসসি কমিশনের তৎপরতা ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা।