কাকদ্বীপ: কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে জেগেছে নতুন চর। সমস্যা দেখা দিয়েছে ভেসেল চলাচলে। ফলে গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন যাত্রী পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের পারাপারের চিন্তায় প্রশাসন। জরুরি বৈঠকেও বসল প্রশাসন। কিন্তু, মিলল না সমাধান সূত্র। আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় কি বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে? মন্ত্রী থেকে প্রশাসনের কর্তারা এখন সেটা নিয়েই সবথেকে বেশি চিন্তিত।
সাগরের প্রস্তুতিতে যে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুড়িগঙ্গার নতুন চর, তা ভালই টের পাওয়া যাচ্চিল। এদিনই জেলা শাসক ও সুন্দরবন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চলে জরুরি বৈঠক। কিন্তু, সেখানেও বিশেষ সমাধান সূত্র না মেলায় হতাশা দানা বেঁধেছে সকলের মনেই। যদিও শুক্রবার থেকেই জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে পলি কাটার যন্ত্র। নদীতে ড্রেজিং কাজ খতিয়ে দেখেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। ইতিমধ্যেই মুড়িগঙ্গার জলস্তর মাপার কাজও হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শেষ হওয়ার কথা ছিল মুড়িগঙ্গার পলি কাটার ড্রেজিংয়ের কাজ। কিন্তু, নতুন চর নিয়েই এখন সবথেকে বেশি চিন্তায় প্রশাসন। তড়িঘড়ি বৈঠকও হল। বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। আসেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তবে সমস্যা যে ক্রমেই বাড়ছে তা তাঁরা স্বীকার করে নেন। নতুন করে অতিরিক্ত পলি কাটার যন্ত্র বসানোর উপরেও জোর দেওয়া হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতিবছর গোটা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন রাজ্যে। পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের প্রধান ভরসা কিন্তু কাকদ্বীপের এই মুড়িগঙ্গা নদী। দীর্ঘদিন ধরে এই নদীতে পলি জমতে থাকায় ভাটার সময় যাত্রী পারাপারের ভেসেল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আগেও দেখা গিয়েঠে এই ছবি। মেলা শুরুর দিন কুড়ি আগেও গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভেসেল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিন চরম হয়রান হতে হচ্ছে সাগরের বাসিন্দা থেকে তীর্থযাত্রীদের। তাতেই বেড়েছে উদ্বেগ।